চালচিত্র | Chalchitra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ছেলেরা ছেঁড়া ATS শৃন্ধ পকেটে হত-দরিদ্রের মত মানুষ হয়েছে! কিশোর বয়স থেকেই বিনয় বৈঠকখানা ঘরের বিরাট সেক্রেটারিয়েট টেবলের এক পঞ্চমাংশ জুড়ে পড়াশোনা] করে এসেছে | বাকি অংশে অন্য ছাত্রলরিক। যখন এঞ্জিনীয়ারিং পড়ছে তখন বইপত্র যন্ত্রপাতির কলেবর বৃদ্ধি হওয়ায় ওই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে কুলিয়ে নিতে যথেষ্ট কষ্ট হত। তবু উপায় নেই। কখনো কখনো ধেত্তুরি বলে আমাদের বাড়িতে চলে আসতো বইখাতা নিয়ে। একমাত্র রাত্রে, যখন সি'ড়ির om থেকে প্রতিটি ঘরের মেঝে পর্যন্ত নানা আকারের রহস্তময় চেহারার বিছানায় ভরে যেত, অন্ধকারে বাইরে যেতে হলে যখন মাইন পাত যুদ্ধক্ষেত্রের মতই সম্ভর্পণে অনেক ঝুঁকি নিয়ে পা ফেলতে Be, তখন, কেবলমাত্র তখনই বিনয় ওই টেবিলটির অখণ্ড মালিকানা স্বত্ব ভোগ করত। অর্থাৎ রাতে তার শোবার জায়গা ছিল ওই টেবিলটিই। বড় বয়সে শুধু ওর সঙ্গে গুটি দুই চেয়ার জুড়ে নিয়ে তার ওপর একটি আলমারীর ভাঙা পাল্লা চাপিয়ে সর্বাঙ্গে কুলিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে নিতে হত। বর্ষ এবং শীতের রাত্রে ওদের ছাদ থাকতো জনহীন। বিনয় তখন কোনো কোনো রাত্রে সেখানে বিলাসিতা করে শুতে cas | মাঝরাতে বৃষ্টি এলে বিছানা শুদ্ধ নিজেকে হোল্ড AAA মত চটপট গুটিয়ে নিয়ে জল থামার অপেক্ষায় ঘুম চোখে সি'ড়িতে দাড়িয়ে থাকতো। যাকে বলে পাটিসাপটা হয়ে । এমনি করেই বিনয় একদিন বিলেত গেল ৷ বিলেত যাবার আগের TCHS এই একই রকম BRAM করে গেল। অন্য বাড়ি হলে, পাশপোর্ট ইত্যাদি তৈরী হবার সময় থেকেই তারা সুখ সুবিধার aw পৃথক ব্যবস্থা হত, এটা ওটা সেটা রাষ্ন| Zoi বিশেষত মা যেখানে এখনো বেঁচে রয়েছেন। কিন্তু এবাড়িতে সবই আলাদা। বিনয়ের বিলেত যাওয়াটা এ বাড়ির কারো কাছেই একটা ব্যাপার নয়। কেউ HA করল না। ওর বাবা শুধু বিদায়ী প্রণাম নেবার সময় 'আশীর্বাদের ভঙ্গিতে বলেছিলেন, “/চঠিপত্তর দিয়ো, যখন যেমন ১৬



Leave a Comment