নাটক অভিনয় | Natak Avinaya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
WE OF হুয় নোতুন রঙ্গমঞ্চে--যা স্থায়ী এবং আজো যা কিছু কিছু অক্ষত । রঙ্গমঞ্চের স্তরুর যুগে আর একটি ছবি আমাদের অনেক সতর্কতার বাণী দেয় গণনাটো্যের ১৯৭২ সালের জুলাই সংখ্যায় বিনয় ঘোষের একটি প্রবন্ধে ৷ “তখনকার হঠাৎ বড়লোক বাঙালী দালাল বেনিয়ান, Tele ও দেওয়ান বাবুর কুকুর-বীদরের বিয়েতে লাখটাকা খরচ বহুন করছেন, বিদ্তাস্তন্দর যাত্রায় তাড়াতাড়া নোট প্যালা দিচ্ছেন, সখের কবিয়াল, হাফ-আখড়াই ও থখেউড়ের দল পুষছেন, ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন, বুলবুলি ও মোরগের লড়াই দেখছেন এবং ARCA বিদেশীদের রঙ্গালসে সাহেব মেমদের কৌতুকাভিনয় দেখছেন ।' কোলকাতায় প্রথম রঙ্গালয় লালবাজার স্ট্রীটের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এবং দ্বিতীয়টি স্থাপিত হয় বর্তমান মহাকরণের পেছন দিকে । এখানে অর্থাৎ এই 'ক্যালক্যাটা থিয়েটারে' মাথাপিছু টিকিটের হার ছিল যথাক্রমে ৮, ১২, ১৬ এবং ৬৪ BFL ভাবুন ব্যাপারটা কি? ইতিমধ্যে হিন্দু কলেজ রুচি বদলের এক শীর্ষস্থান দখল করে বসলো | বাঙালীরা অভিনয়ে যোগ দ্িলো-_নাটাচর্চা শুরু হলো-_শেক্সমপীয়র এলো | ১৮৩১ সালে প্রসন্নকুমার হিন্দু থিয়েটার স্থাপন করলেন। তবে বাঙালীদের দ্বারা বাঙলা নাটক অভিনয় গুরু করলেন ১৮৩৩ সালে নবীনচঙন্গ বস্থ মশায় | ১৮৫০ সাল থেকে প্রায় কুড়ি বছর বাংলাদেশের আর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্লেক্ষাপটকে সামনে রাখলে গণতান্ত্রিক শিল্প হিসেবে বঙ্গরঙ্গমঞ্চের অগ্রগতি সম্পর্কে একটা মম্যক ধারণা রাখা যেতে পারে। একদিকে ঈশ্বরচন্দ্রের বিধবা-বিবাহ, কৌলিন্যপ্রথ৷ এবং বছ বিবাহের বিরুদ্ধে আন্দোলন, অন্যদিকে নববাবুদের য়ুরোপীয় রীতিনীতির অঙন্করণ, OITA এবং বেশ্যাশক্তিপ্রিয় বাবুদের বিরুদ্ধে লড়াই। কাজেই বিষয়বস্তুগতভাবে সংঘাতমুখর জীবনের প্রতিফলন দেখতে পাই সেই সময়ের নাটকে। সমাজ- সচেতন গণনাটো্যের শুরু বলতে এই সময়কেই চিহ্নিত করা উচিত৷ বিক্ষিপুভাবে উমেশচন্দ্র মিত্রের “বিধবা বিবাহ, রামনারায়ণের 'কুলীন কুল- aaa, দীনবন্ধুর বিয়ে পাগলা বুড়ো', 'জামাইবারিক', 'সধবার একাদশী”, মধুনুদনের প্রহসন 'বুড়ৌশালিকের ঘাড়ে cal, “একেই কি বলে সভ্যত1' অভিনয় হলে । নাটকে জনজীবন এলো ৷ সমাজ্জসচেতনতা এলো | আমরা জানি মধুসুদনের পরামর্শে, পণ্তিতপ্রবর সত্যত্রত সামাশ্রমীর চেষ্টায় বাঙলার স্থায়ী রঙ্গমঞ্চে বারা্গনা গ্রহণের জন্য “বেঙ্গল থিয়েটার' মমাজের ১৬৪



Leave a Comment