চোখের বাহিরে | Chokher Bahire

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
মতলব নিয়ে আধডোবা একটা ভাঙা নৌকোর গলুইয়ের ওপরে ঝিম ধরে বসে আছে | আর সামনে দিয়ে যেত মহাজনী নৌকো ? কখনো পাল তুলে, কখনো লগি ঠেলে, কখনো গুণ টেনে। ঢোল বাজিয়ে, করতালের AIT HA | বাবা বলতেন, ওতে করে ধান-পাট এই সব MT | আস্তে আস্তে বেলা ডুবত। গড়াই নদীর জল রূপোর রঙ বদলে তামার মতো হয়ে যেত । তারও পরে WY যখন লাল হয়ে নামতে শুরু করত TANT আর কাশবনের ওপারে-_রাঙা টকটক করত চরট।-_ যেন আগুন লেগেছে, আর কাশের AN সেই আগুনের অসংখ্য শিখা হয়ে জ্বলছে; ওপারের মানুষগুলো যেন একদল রঙিন পুতুলের মতো PSPS করে এগিয়ে যেত। আর নদীতে রাঙা হত নৌকোর পাল-_-আবির মাখা জলে এক আধটা woes খুশিতে ভুস ভুস করে ভেসে উঠত। তখন বকেরা সেই রঙে ডানা রাঙিয়ে ঝাঁক বেঁধে উড়ত আকাশে--ডাকত, কাী-কী-কাী। তারপর আগুনধরা চরটার ওপর ছাই রঙ ছড়িয়ে যে, সারাদিনের মতো খেয়ার পালা মিটিয়ে এপারে.ফিরে আসত মাঝিরা, নদীর আবির গোলা জল মলিন হয়ে CUS খানিক দূরে বাকের মুখে গাছপালার আড়ালে দেখা যেত পুরোনো নীলকুঠির বাড়ীটাকে---সেইটেকে ঘিরে ঘিরে একটা কালে SIM উঠতে থাকত আকাশের দিকে । অন্ধকার মাখতে আরম্ভ করত পেছনের মস্ত আমবাগানটা--শেয়াল ডেকে উঠত তার ভেতরে | তখন বাবা বলতেন, ফিরে ঢলো | আমরা বলতুম, আর একটু থাকি না বাবা! বাবা বলতেন, না-না, অন্ধকার হয়ে যাবে এর ATA | তখন আমর! ফিরে আসতুম বাড়ীর দিকে । আসবার সময় নদীর চড়া থেকে আকি fags কুড়িয়ে fon দুটো একটা । কাঁচা আম খেতে fags খুব কাজে লাগে। অনেকদিন ভেবেছি একটা গোটা ঝিনুক যদি পাই, তাহলে তার ভেতরে We পাওয়া যায় কিনা খোঁজ করে ১৪



Leave a Comment