বাংলার ইতিহাসের দুশো বছর: স্বাধীন সুলতানদের আমল (১৩৩৮-১৫৩৮) [সংস্করণ-২] | Banglar Itihaser Dusho Bachar Swadhin Sultander Amol (1338-1538) [Ed. 2]

গ্রন্থকারের নিবেদন u/s বাংলাদেশ একটানা দুশো বছর ধরে নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ভোগ করেছে। এই স্থদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের সম্পদ বাংলার ভিতরেই ছিল-_বাইরে যায় নি। তা ছাড়া এই পর্বের অধিকাংশ সময় বাডঙালীরাই বাংলাদেশ শাসন করেছেন বলা যায়। ATH গণেশ ও তাঁর বংশধরেরা বাঙালী ছিলেন। নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ ও তাঁর বংশধরদেরও StS বল যেতে পারে। আলাউদ্দীন হোসেন শাহও বাঙালী ছিলেন বলে এই বইতে দ্রেখবার চেষ্টা করেছি। বাংলার স্বাধীন সহুলতানদের আমল আর একদিক দিয়ে স্মরণীয়। এই পর্বে বাংলা সাহিতোর লক্ষ্যণীয় বিকাশ ঘটে । কয়েকজন দিক্পাল কবি এই পর্বেই আবিষভূত হয়ে বাংলা সাহিতাকে wise ও মমৃদ্ধিমম্পন্ন করে তোলেন; তাদের মধ্যে অনেকেই বাংলার রাজ] ও রাজক্চারীদের কাছে পৃষ্ঠপোষণ লাভ করেছিলেন। কাজেই, বাংলার ইতিহাসের আলোচ্য পর্বটি সবদিক দিয়েই বৈশিষ্টাপুর্ণ। এই পর্বে যে সব স্থলতান বাংলাদেশ শাসন করেছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই মসাধারণ ছিলেন | তবে এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি। এই বইটিতে কোন কোন রাজার সম্বন্ধে সুদীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে, কারণ তাদের সম্বন্ধে অন্য রাজাদের তুলনায় অপেক্ষাক্বত বেশী তথ্য পাঁওয়। Ua) কিন্তু তার দ্বার৷ এই কথা বোঝায় না যে অন্য রাজাদের তুলনায় তারা শ্রেষ্ঠ ছলেন। প্রকৃতপক্ষে সব দিক দিয়ে বিচার করলে বাংলার স্বাধীন সুলতানদের মধ্যে রুকসুদ্দীন waaay শাহকেই সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে হয়। এই বইতে তার ANS CI ALAA আছে, তা অন্য কৌন কোন als] সম্বন্ধীয় দীর্ঘতর আলোচনার তুলমায় স্বল্লায়তন হওয়ার দরুন হয়তো! তেমনভাবে পাঠকদের ট্টি আকর্ষণ করতে পারবে Al সেইজন্যে এখামেই এ সম্বন্ধে APACS অবহিত করে রাখলাম। আধুমিক যুগের কোন কোন লেখক রাজনৈতিক ইতিহাসকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বলে করেন না; তাদ্বের মতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইঙিহাসই দেশের আসল ইতিগঠাস। fae এই ধারণ] একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয়। কারণ প্রথমত, স্বদেশের ও সর্বকালের ইতিহাসে দেখা যায়, জাতীয় জীবনের অস্যান্ত দিকের তুলনায় রাঙ্জনৈতিক দিকই সবিশেষ গুরুত্ব লাভ করে। Assy দিনের সংবাদপত্রগুপলিতেও প্রথম পুষ্ঠায় বড় বড় শিরোনামায় রাজনৈতিক ,সংবাদগুলিই পরিবেশিত হয়, সামা 'জক ও সাংস্কৃতিক সম্দেশ তাতে গৌণত রন স্থান লাভ ক্রে। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক ইতিহাস্কে বা দিয়ে কোন