মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের তথ্য ও কালক্রম | Madhyayuger Bangla Sahityer Tathya O Kalakram

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিপ্রদাস পিপিলাই * .২) বিপ্রদাসের 'মনমামঙ্গলে'র নবম পালার মধ্যে লেখ! আছে যে, বাণিজ্যযাত্রার aa উজনি, কাটোয়া, নদীয়া, স্কুলিয়া, হাতিকান্দ, গুপ্ডিপাড়া, লিঙ্গারপুর, ত্রিবেনী প্রভৃতি স্থান অতিক্রম করার পরে টাদো বললেন, দেখিব কেমন সপ্তগ্রাম। তথা nee স্থান waa twa অধিষ্ঠান CATH মোক্ষ রঙ্যতর ধাম ॥ এরপর কবি সমৃদ্ধ ও জনাকীর্ণ সংগ্রাম নগরীর বিজ্বৃত বিবরণ দ্বিয়েছেন ( AIS এই বর্ণনার মধ্যেও কিছু কিছু প্রক্ষিপ্ত উপাদান প্রবেশ করেছে )। কিন্তু যোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে সপ্ভগ্রাম বন্দরের অবনতি ঘটতে থাকায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। সুতরাং বিপ্রদাসের “মনসামঙ্গল' যোড়শ শতাব্থীয্ন মধ্যভাগের আগেই লেখা বলে মনে হয়--ষে সময়ে সপুগ্রাম সমৃদ্ধ নগরী ছিল এবং লোকে গঙ্গার উপর দ্বিয়ে ষাবার সময় সপ্তগ্রাম ভাল করে না CHCA যেত না। এর থেকে আমাদের মনে হয়, বিপ্রদাসের “'মনসামঙ্গল' যুলত ১৪১৭ শকাৰ বা ১৪৯৫-৯৬ Hoicez রচিত হয়েছিল, পরে তাতে qe প্রক্ষিপ্ত অংশ যুক্ত হয়েছে | আমাদের ধারণার সমর্থনে একটি প্রমাণ উদ্ধৃত করছি। কাব্যের প্রথম পালাষ্ন বিপ্রদাস লিখেছেন, সংক্ষেপে পদ্মার ব্রত কহিল মঙ্গলগীত বিস্তারে কহিব সপ্ত নিশি ॥ কিন্তু বর্তমানে (এসিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত সংস্করণ wea) কাব্যটিতে তেরটি পালা পাওয়া ষায়। এর থেকে বোঝা যায়, কবি মূলে সাতটি পালায় কাব্যটিকে সম্পূর্ণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে প্রক্ষিপ্ত উপাদান যুক্ত হয়ে কাব্যটি স্ফীতকায় হয়েছে এবং সাতটি পালাকে ভেঙে coals পালায় দাড় করানো wae | কেউ কেউ বলেছেন যে, বিপ্রদাসের মনসামঙলের প্রচার aie) ছিল বলে জানা যায় না--স্মৃতরাং তাঁতে প্রক্ষেপ পড়বে বলে ভাবা চলে না। fee আমরা এই মত সমর্থন করতে পারি না। কারণ বিপ্রদাসের মনমামঙ্গলের চারটি পুথি এ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে, ewan বাসভূমির নিকটবতাঁ দবততপুকুর, জাগুলিয়া, ছোট জাগুলিয়া প্রভৃতি গ্রামের লোকের! এই পুথেগুলি নকল করেছিল এবং এই অঞ্চল থেকেই সব কটি পুথি সংগৃহীত হ্য়েছে। এর থেকে বোঝা যায় থে, বাংলার অন্য কোন অঞ্চলে বিপ্রদাসের ।মনসামঙ্গলের প্রচার না হলেও, Sta



Leave a Comment