কুসুমকুমারী দাসের কবিতা | Kusumkumari Daser Kabita

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
গুরুতর লিভারের অসুখে Bis হন। চিকিৎসক হাওয়া-বদল করতে বলায় কুসুমকুমারী পিতা চন্দ্রনাথকে সঙ্গে নিয়ে বহুদিন ধরে লখনৌ, আগ্রা, দিল্লি প্রভৃতি স্বাস্থ্যকর জায়গায় কাটিয়ে শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে ফিরেছিলেন। সে সময়ে তাদের অসচ্ছল পারিবারিক অবস্থায় অনেকেরই সমর্থন ছিল না একাজে : “পুরনো চিঠিপত্র থেকে জানতে পারি মা'র এই প্রচেষ্টাকে পরিবার-পরিজন সকলেই আত্মঘাতী বলে মনে করেছিলেন। তবু বিচলিত হন নি মা। (কাছের জীবনানন্দ | ময়ুখ, পৌষ-জ্যেষ্ঠ, ১৩৬১)। জীবনানন্দের বর্ণনায় আরও পূর্ণ হয়ে দেখা দেয় সেবা ও করুণার মনোভাবের সঙ্গে অনমনীয় দৃঢ়তার মিশ্রণে গঠিত কুসুমকুমারীর চেহারা। বরিশালের শীতের রাতে মা'র আসার অপেক্ষায় কীভাবে তাঁদের সময় BSS বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, SH পেতাম, কোন পড়শীর বাড়ি থেকে ডাক আসতে পারে, কারু মারাত্মক রোগ হয়েছে, হয়তো কোন দুঃস্থ পরিবারকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের আশ্রয় থেকে, হয়তো কোন নিম্নশ্রেণীর লোকের মৃত্যু হয়েছে, হয়তো কোন অনাথ স্ত্রীলোক বিশেষ কারণে বিপন্ন, হয়তো কোন প্রতিবেশীর ঘরে ছেলেপিলে হবে, ... মার কাছে খবর এসে পৌছলেই তিনি চলে যাবেন-_সারা রাত বাড়িতেই ফিরবেন না হয়তো আর, জেগে বা ঘুমিয়ে একাই পড়ে থাকতে হবে আমাদের ।” (Vaya, পৌষ- ফাল্গুন, ১৩৬১)। বাড়িতে শিশুসন্তান রেখে রাত্রিবেলা প্রতিবেশীর সমস্যা-সংকটে গিয়ে দাঁড়াবার মতো মহিলা এ-যুগেও অল্পই। ঘরের fer বাইরে এসে সামাজিক অনুষ্ঠানে মেয়েদের যোগ দেবার প্রচলন করেন প্রধানত ব্রাহ্ম-মহিলারাই। বরিশাল-ব্রাহ্মসমাজে সমারোহের সঙ্গে পালিত হত বাৎসরিক মাঘোৎসব-_উদ্যাপিত হত মনীষীদের স্মরণসভা। ব্রজমোহন স্কুলের শিক্ষক সত্যানন্দ দাসের সভাপতিত্বে বরিশাল ছাত্রসংঘ নানারকম সভা ও জনকল্যাণমূলক কাজের আয়োজন করত | সপ্তাহকালনল্যাপী মাঘোৎসাবের একটি দিন নির্দিষ্ট থাকত মহিলাদের জন্য | সেদিন সভার সব কাজ পরিচালনা করতেন মহিলারাই ! 'ব্রহ্মবাদী” পত্রিকার 'স্থানীয় প্রসঙ্গ ও সংবাদ*-নামে নিয়মিত-বিভাগটিতে দেখা যায় ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত প্রায় প্রতিবছরই সেই মহিলাদিবসের উপাসনায় আচার্যের কাজ করেছেন কুসুমকুমারী। পরিণত বয়সে এমন একটি স্বাভাবিক মর্যাদার অধিকারিণী তিনি হয়েছিলেন যে, শুধু মহিলাদের উৎসবে নয়, ব্রাহ্মসমাজের সাধারণ সভাতেও কখনও-কখনও আচার্যের কর্মভার তার ওপর অর্পিত হত। হেমস্তকুমারী লিখেছেন, 'আমার দিদি বছ বৎসর যাবৎ বরিশাল ব্রাহ্মিকা-সমাজের আচার্যের কাজ করেন, সম্প্রতি ভক্তিভাজন আচার্য মনোমোহনবাবুর তিরোধানে তিনি সমাজের আচার্যের কাজ করিতে আরম্ভ করিলেন। তাহার ভক্তিভাবপ্রণোদিত সরস উপাসনা সকলের প্রাণকে আকৃষ্ট করিতেছে ।' পূর্বোক্ত 'হাসির গান”-এর ভূমিকার অন্তর্গত এই উক্তির প্রকাশকাল ১৩৪৬ বঙ্গাব্দ। একথার সমর্থন পাই জীবনানন্দের কথাতেও : 'বাবা ও পিসেমশায়ের অবর্তমানে তিনি বরিশালের ব্রাহ্মসমাজে 'আচার্যের কাজ ১৬



Leave a Comment