শিকড়ের সন্ধানে | Shikarer Sandhane

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
হুল ফুটিয়ে সাড়াশীর মতো কামড়ে ধরতেই নিপুণ হাতে তাদের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দিলেন ৷ ফলে ছেঁড়া চামড়া সেলাই করে জুড়ে দেওয়ার মতো হলো | তারপর অন্য বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে তিনি কুণ্টাকে পাশে নিয়ে শুলেন | বিছানার পাশে তাঁকের ওপর বোঝাই করা বইগুলো কুণ্টার পিতামহের | কুণ্টার ঠাকুরমা তার কথা বলতে শুরু করলেন | তার আদি দেশ মরেটানিয়। | তাঁর বয়স যখন পঁয়ত্রিশ বর্ষ], তখন তাঁর গুরুর ery তিনি সন্ন্যাসী হয়েছিলেন । পুরোনো মালি অঞ্চলে তাদের বহুশত বর্ষণ প্রাচীন বংশে সন্ন্যাসীর সংখ্যা প্রচুর | তার গুরু গোষ্ঠিপ্রধান ছিলেন । তাঁকে গুরু রূপে পাবার জন্য কুণ্টার পিতামহ আকুল প্রার্থনা জানিয়েছিলেন | তিনি যখন চতুর্থ কাফোতে তখন তার প্রার্থনা পুরণ হয়। গোষ্ঠিপ্রধান তাকে শিষ্যত্বে এহণ করেন। পরবর্তী পনেরো বর্ষ| তিনি গুরুর স্ত্রী, ক্রীতদাস, শিষ্য ও গরু-ছাগল সমেত বিরাট দলটির সাথে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘোরেন ও কায়মনোবাক্যে আল্লাহ এবং তার প্রজাদের সেবায় নিযুক্ত থাকেন | ধূলিধূদর পায়ে চলা পথ, বা নদীতীরের erate খড়ি ধরে প্রখর রৌদ্রতাপ ও বর্ষণসিক্ত হিমেল হাওয়া তুচ্ছ করে কত শ্যামল উপত্যকা, তীক্ষ বায়ু জর্জরিত উষর মরুদেশ পরিভ্রমণ করেছেন। পরেও কায়রাবা কুণ্টা কিণ্টে বহু চন্দ্রকাল একা ঘুরে বেরিয়েছেন | অবশেষে আল্লাহ এই নবীন সাধুকে দক্ষিণ মুখে প্রেরণ করেন | প্রথমে গাম্বিয়ার পাকালি এনডিঙে আসেন | এর প্রার্থনায় সদ্য সদ্য ফল পাওয়া যায় দেখে স্থানীয় লোকেদের ধারণা হলে! ইনি আল্লাহের বিশেষ অনুগ্রহ-প্রাপ্ত। ঢাকের বাজনার মাধ্যমে এ খবর দ্রুত চারিপাশে ছড়িয়ে পড়ে | তখন অন্য গ্রামের লোকেরাও তাঁকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করতে CHV করলো | দূতের মুখে সুন্দরী, গুণবতী Fal, ক্রীতদাস, গরু-ছাগল নানাবিধ উপহারের প্রস্তাব আসতে থাকলো | সেখান থেকে তিনি fortes গ্রামে যান ৷ সেখানেই জুফরে গ্রামের দুর্দশার কথা শোনেন | অবিলম্বে জুফরেতে উপস্থিত হয়ে তিনি পাঁচদিন অবিশ্রান্ত প্রার্থনা করেন এবং বড়ো বৃষ্টি এনে জুফরেকে ধ্বংসের হাত থেকে TH] করেন | গাম্বিয়ার এই অংশ বারার রাজার ধীন ৷ তিনি স্বয়ং এই নবীন সাধকের বিবাহের জন্য একটি উৎকৃষ্ট Sa] পাঠিয়েছিলেন | তিনিই দিরেঙ, কায়রাব FH কিন্টের প্রথমা স্ত্রী, জানে এবং সালুম নামে ছুই পুত্রের জননী | পিতামহী ইয়াইস) এতক্ষণে খাটিয়ার উপর উঠে বসেছেন | তাঁর দুই চক্ষু পরম উৎসাহে উজ্জ্বল! ১১



Leave a Comment