পিয়াসা | Piyasa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ও একটু থেমে একটু হেসে বলেছিল, তোদের এই নীতাও ওর একজন গার্ল ফ্রেন্ড মাসে GRAS দু” তিন দিন রাজীব ওকে ওদের ফ্ল্যাটে এনে সারা দুপুর ধরে APTS BCA | ওর কথা শুনে আমি আর সাহানা চমকে উঠি। প্রায় একই সঙ্গে বলি, বলিস কীরে? মীনা হাসতে হাসতে বলে, তোর! এই ছবিটা মাকে দেখালেই জানতে পারবি, আমি সত্যি কথা বলছি কি না। এর পর এম. এ. পড়ার সময় আমাদের চোখের সামমে নীতা ছেলেদের সঙ্গে যে ধরনের কাণ্ড-কারখানা করতো, তা আমাদের পক্ষে অকল্পনীয় ছিল। ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে এক-আধ দিনের জন্য এখানে-ওখানে চলে যাওয়া ছিল ওর নিয়মিত অভ্যাস। তবু নীতা ফাস্ট ক্লাস পেয়েছিল বলে ওর বাবা-মা ওকে বিশেষ কিছু বলতে পারতেন না। সাহানা আর মাধুরী অবশ্য বলতো, প্রফেসর চোপড়া বা শ্রীবাস্তবের মত ছোকরা অধ্যাপকদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে মুসৌরী বা বাদ্খাল লেকে রাত কাটাতে পারলে আমরাও হাসতে হাসতে ফাস্ট ক্লাস পেতাম। বাবার এক কলিগ” এর ছেলে এম. বি. বি. এস পরীক্ষায় গোল্ড মেডেল পাবার পর এম. এস. পরীক্ষাতেও অসম্ভব ভাল Sle করল কিন্তু অমন নেশাখোর ছেলে বোধহয় ভূ-ভারতে আর দ্বিতীয় নেই৷ এইসব অভিজ্ঞতার জন্য সার্থককে প্রথম দিন দেখেই আমি খুব বেশি উল্লসিত হইনি. হতে পারিনি! কথাবার্তা শুনে ওকে যথেষ্ট, সংযত ও ভদ্র মনে হয়েছিল। তবে একথা নিশ্চয়ই স্বীকার করবো, ওর চোখ-মুখের মাধুর্য আমাকে বোধহয় মুগ্ধ করেছিল। সেদিন সার্থক চলে যাবার পর মা বললেন, বুঝলে সাহানা, তোমার এই রাঙাদাকে দেখে বড় ভাল লাগল। আজকাল ঠিক এই ধরনের ছেলে বিশেষ চোখেই পড়ে না। সাহানা চাপা খুশির হাসি হাসতে হাসতে বলল, মাসিমা, রাঙাদা তো আমার আইডল, আমার HAS | ওরা দু'জনে ঘণ্টা খানেক ধরে OY ওকে নিয়েই আলোচনা করে চলেছে দেখে আমি টিপ্ননী কাটি, দ্যাখ সাহানা, তোর রাঙাদাকে নিয়ে অত অহংকার করিস না। জানিস তো, মিষ্টি আমেই বেশি পোকা লাগে; টক আমে কোনদিনই... আমাকে কথাটা শেষ করতে না দিয়েই সাহানা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে, ওরে, আমার ACM স্টেনলেস্‌ স্টিল | হাজার ঝড়-বৃষ্টিতেও ওর মরচে ধরবে না। হি ইজ অল টুগেদার এ ডিফারেন্ট মেটাল! আমি একটু হেসে বললাম, লেট আস অল হোপ সো। ১৯



Leave a Comment