বিনয় সরকারের বৈঠকে [ভাগ-১] | Binoy Sarkarer Baithake [Pt. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
(২০) ভুল। তিনি foam ক্ষেত্রে ছিলেন বছত্বনিষ্ঠার “প্লুর্যালিজমে”র) উদগাতা। তিনি ছিলেন ব্যক্তি-স্বাধীনতার একনিষ্ঠ পৃজ্ারী। তিনি মনে করতেন সঙ্ডেঘর অধীন ব্যক্তি-স্বাধীনতা অনেক সময়ই গোলামির সামিল। পার্টি বা রাষ্ট্রের প্রতিপত্তি অযথা বৃদ্ধি পেলে ব্যক্তি- স্বাধীনতা খর্ব বা লুপ্ত হয়। তিনি সকলপ্রকাব স্বেরতদ্ত্র বা একনায়কতন্তরের প্িরোধী facets | Ses দিক থেকে গণতন্ত্রের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের বা সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধ যতই উচ্চারিত ও প্রচারিত হোক না. বাস্তব জীবনে NOC ও সমাভাতন্ত্রের পাশাপাশি সাম্রাজ্যবাদ যুগপৎ বিরাজ করতে পারে | সাম্রাজ্যবাদের অর্থই হলো এক জাতির উপর আর এক জাতির আধিপত্য বিস্তার | আন্তর্জাতিকতার চর্চা করতে গিয়ে তিনি জাতীয় স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিতে রাজী ২ন নি। ‘Unpatriotic internationalism’-44 বিরুদ্ধে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। যে কোনো সাম্রাজ্যবাদের--তা ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ হোক বা কমুনিস্ট সাম্রাজ্যবাদ হোক তার-_-বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরতে দ্বিধা বোধ করেন নি। তিনি মামুলি বা গতানুগতিক চিত্তার লোকপ্রিয় প্রবক্তা ছিলেন না। দার্শনিক চিন্তাধারার ক্ষেত্রে বিনয় সরকার অদ্বৈতবাদের বিরুদ্ধে বহুত্বনিষ্ঠার দর্শন খাড়া করেছেন। মানব জীবনের বা এঁতিহাসিক অভিব্যক্তির ধারায় তিনি কোনো একটি শক্তি ও প্রেরণার বদলে লক্ষ্য করেছেন রকমারি শক্তি ও প্রেরণার প্রভাব। কার্ল মার্কসের অর্থনৈতিক অআঁদ্বৈতবধাদকে তিনি ততখানিই gare বিবেচনা করতেন যতখানি হেগেলের ভাববাদী অদ্বৈতবাদকে, অথচ দুই চিত্তাবীরকে তিনি ঝবি বা যুগাবতার বলে কুর্নিশ করেছেন। তার রচিত 'ভিলেজেস্‌ আ্যাগু টাউনস্‌ আ্যাজ সোশ্যাল প্যাটার্নস্‌* বা 'পল্লী ও শহরের সামাজিক গড়ন' প্রস্থে কেলিকাতা, ১৯৪১) এ বিষয়ের সুবিসজ্বৃত আলোচনা আছে। ৯ বিনয় সরকার শুধু একজন দিকপাল wer ছিলেন না, স্বদেশপ্রেমিক হিসাবেও তার স্থান ছিল খুব উঁচুতে! যৌবনের sacs প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন তিনি “ডন সোসাইটি'র প্রতিষ্ঠাতা আচার্য সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সান্নিধে/ আসেন ও তার নিকট স্বদেশপ্রেম ও স্বার্থত্যাগের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হন। এই স্বার্থত্যাগ ও স্বদেশপ্রেমের আদশ তার সকল কর্মকে উদ্দীপিত করেছিল। জাতীয় অভাব মোচন ও দঘমেশের অপ্রগতি এই ছিল তার জীবনের wry তিনি কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী [মি, কিন্তু আন্তর্জাতিকতা বা বিশ্বজনীনতার ক্ষেত্রেও তার afew খুব কম ব্যক্তিই ছিলেন। ১৯৪৪ সনে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর বেণীমাধব বড়ুয়া বিনয় সরকারকে এক পত্রে লিখেছিলেন, ‘Let me say that you have excelled us all in your wide knowledge of men and things, the depth ef your knowledge and the breadth of your vision. There is hardly a second man in India of today to properly evaluate all nations and their contributions to the Commonwealth of Culture.’ APCS কোনো কোনো দিকপাল মনাযীকেও বিনয় সরকার সম্বদ্ধে অনুরূপ ধারণা পোষণ করতে দেখি!



Leave a Comment