গল্পগুচ্ছ | Galpoguccha

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
দা গল্পগুচ্ছ আজিকার দিন যেমন সত্য, যেমন জীবন্ত, সে দিনও ঠিক তেমনি সত্য ছিল, তোমাদের মতো তরুণ হৃদয়খানি লইয়া ara দুঃখে তাহারা তোমাদেরই মতো টলমল করিয়া দুলিয়াছেন, তেমনি আজিকার এই শরতের fra— তাহারা-হীন, তাহাদের স্খদুংখের-স্থতিলেশমাত্র-হীন আজিকার এই শরতের স্যকরোজ্জ্বল আনন্দচ্ছবি-- তাহাদের কল্পনার নিকটে তদপেক্ষাও অগোচর ছিল | সেদিন ভোর হইতে প্রথম উত্তরের বাতাস অল্প অল্প করিয়া বহিতে আরম্ভ করিয়] gow বাবলা ফুলগুলি আমার উপরে এক-আধটা Gorey ফেলিতে- faa) আমার পাষাণের উপরে একটু একটু শিশিরের রেখা পড়িয়াছিল। সেইদিন সকালে কোথা হইতে গোৌরতনহ সৌম্যোজ্জলমুখচ্ছবি দীর্ঘকায় এক নবীন সন্ন্যাসী আসিয়া আমার সম্মুখস্থ ওই শিবমন্দিরে আশ্রয় লইলেন। সম্যাসীর আগমনবার্ড! গ্রামে রাষ্ট্র হইয়া পড়িল । মেয়েরা কলসী রাখিয়া বাবাগাকুরকে প্রণাম করিবার জন্য মন্দিরে fan few করিল। ভিড় প্রতিদিন বাড়িতে লাগিল। একে সন্ন্যাসী, তাহাতে BRAT a, তাহাতে তিনি কাহাকেও অবহেলা করিতেন না, ছেলেদের কোলে লইয়া ব্সাইতেম, জননীদিগকে ঘরকলন্পার কথা /জিজ্ঞাসা করিতেন । নারীসমাজে অল্পকালের মধ্যেই তাহার অত্যন্ত প্রতিপত্তি হইল । তাহার কাছে পুরুষও বিস্তর আসিত। কোনোদিন ভাগবত পাঠ করিতেন, কোনোদিন CHa Sta ব্যাখ্যা করিতেন, কোনোদিন মন্দিরে বসিয়া নানা শাস্ত্র লইয়া আন্দোলন করিতেন। তাহার নিকটে কেহ উপদেশ লইতে আসিত, কেহ মন্ত্র লইতে আদিত 1 কেহ রোগের Say জানিতে otis) মেয়েরা ঘাটে আসিয়া বলাবলি করিত-- আহা, কী কূপ! মনে হয় যেন মহাদেব সশরীরে তাহার মন্দিরে আসিয়া অধিষ্ঠিত হইয়াছেন | যখন সন্ন্যাসী প্রতিদিন প্রত্যুষে স্থর্যোদয়ের পূর্বে শুকতারাকে সম্মুখে রাখিয়৷ গঙ্গার জলে নিমগ্ন হইয়া ধীরগম্ভীরস্বরে সন্ধ্যাবন্দনা করিতেন তখন আমি জলের কল্লোল শুনিতে পাইতাম না। তাঁহার সেই কণ্ঠস্বর শুনিতে শুনিতে প্রতিদিন গঙ্গার পূর্ব-উপকূলের আকাশ seat হইয়া Swe, মেঘের ধারে ধারে অরুণ রঙের রেখা পড়িত, অন্ধকার যেন বিকাশোন্মুখ কুঁড়ির আবরণপুটের মতো ফাটিয়া চারি দিকে নামিয়া-পড়িত ও আকাশসরোবরে



Leave a Comment