ধর্ম-দর্শন | Dharma-Darshan

6 ধর্ম-দশন এইসব মতবাদ সত্য হলে প্রকৃতপক্ষে ধর্ম-দর্শনের কোনও বিঘয়-বস্ত থাকে না। কারণ, ঈশ্বর যদি' বিচার-বদ্ধির অগম্য হন তাহলে তাঁর সম্বন্ধে কোনও দার্শনিক আলোচনা হতে পারে না, এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস যদি' ধর্মের প্রধান অঙ্গ হয় তাহলে ধর্ম সম্বন্ধেও দার্শনিক আলোচনা হতে পারে না। বুদ্ধিবাদী দার্শনিকেরা কিন্তু বলবেন যে জ্ঞানের প্রকৃতি বিচার করে দেখলে বুঝা যায় যে, কোনও বস্ত 'বা Ue বিচারবুদ্ধির নাগালের বাইরে থাকতে পারে না। “কোন বস্তু বা তত্ব এইরকম যে বিচার-বৃদ্ধিদ্বার৷ তাকে জানা যায় না”--এরকম উক্তি স্ববিরোধী । কারণ, কোন Ae বা তত্ব বৃদ্ধির নাগালের বাইরে হলে সেট! যে aH তা-ই বা জানা যাবে কি উপায়ে ? স্থতরাং ঈশ্বর-তত্তব সম্বন্ধে দার্শনিক আলোচন৷ হতে পারে না এই বিশ্বাস ats | Cy 5 ধর্ম-চেতনা, নীতিবোধ, সৌন্দর্যবোধ ও জ্ঞান-পিপাসা ধর্ম-চেতনার সঙ্গে নীতি-বোধ ও সৌন্দয-বোধের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। বস্তুতঃ ধর্ম, নীতি ও MSS পরস্পরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যতাবে জড়িত বলা চলে। যে বস্তু বা অবস্থা আমাদের চরম কাম্য, যার চাইতে উৎকৃষ্ট আর কিছুই হতে পারে না, যা পেলে আমরা পরিপূর্ণ শাস্তি লাভ করি তাকে পরম পুরুঘার্থ বা নিঃশ্রেয়স (Summum Bonum—The Highest Good) বলা হয়। আমরা সকলেই কোনও ন৷ কোনও তাবে এই নিঃশ্রেয়স লাভ করার চেষ্টা করে থাকি। অসৎকর্ম থেকে নিবৃত্ত হয়ে সৎকর্ম করা, কুূ-প্রবৃত্তি দমন করা, সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া--এগুলি হল আমাদের নৈতিক প্রচেষ্টার অঙ্গ কর্তব্য-বোধ, নৈতিক দায়িত্ব বোধ, কূ-প্রবৃত্তি, নীচতা, হীনতা, অসদাচরণের প্রতি ঘ্ণা--এগুলি হল নীতি-বোধের মূল উপাদান Ay প্রবৃত্তির অনুশীলন ও সদাচরণ যার অত্যাসে পরিণত হয়েছে আমরা তাঁকে সাধু ব্যক্তি (Good man) বলি ও শ্রদ্ধা করি। সাধু ব্যক্তির চরম লক্ষ্য হল নি:শখেয়স লাভ, এবং তিনি নিজের চেষ্টায় এই লক্ষ্যে পৌছাতে চান। তার নৈতিক আদর্শকে যতদিন পর্যন্ত না তিনি নিজ জীবনে রাপায়িত করতে পারেন ততদিন পর্যন্ত তাঁর মনে শাস্তি নেই। কেউ কেউ আবার সৌন্দর্যে অনুরক্ত। সৌন্দর্য উপভোগ এবং oe এই দুয়েতেই তাদের বেশী অনুরাগ। তাঁরা সুন্দরের পৃজারী। কবিতা, সঙ্গীত, চিত্রকলা, Stet ও অন্যান্য চারুশিল্লের মাধ্যমে সৌন্দর্য VE করা, সৌন্দর্য উপভোগ করা এবং সকলকে তাঁদের অনুভূতির অংশীদার করাতেই তাদের