মক্ষীরানী | Makshirani

১২ মক্ষীরানী দিশাহারার মত করে সুলছিল ৷ মনের অপ্রকৃতস্থ অবস্থা কাটিয়ে নেয়ার জন্যে ঘুম না এলেও সে কয়েক মুহূর্ত চোখ বন্ধ করে থাকল | এ সময় সতীর মনে হচ্ছিল, দূরে কোথাও একটা ট্রেনের শব্দ হচ্ছে । ক্রমে ট্রেনের কতগুলা ঝকঝকে কামরা তার খুব কাছে এসে পড়েছিল 1 কয়েকটি সমদর্শন পুরুষ তাকে ডাকছে। রাংতা মোড়া বড় বড় প্যাকেট এখন সতীর হাতের মুঠোয় । যেন একটা ঘরের মধ্যে সে মা-বাবার সামনে এসে AVAL তার চোখ বড় নিষ্ঠুর এবং স্বরও রুক্ষ | wana দিকে না, দেবনাথের দিকেও না-_ভিজে ভাঙা -ভাঙা৷ 'দেয়ালের দিকে তাকিয়ে সতা বলল, “আমি এ বছর থেকেই ক্লেজে পড়ব 1” সুষমা বুঝতে পারেনি সতী কখন এখানে এসে পড়েছে | দেবনাথও হঠাৎ হতবুদ্ধির মত হয়ে পড়ল এবং তার বলবার কথা ছিল না বলেই যেন আপাতত আহারে ব্যস্ত--এমন ভান করল। “আমি কলকাতায় তোমার বন্ধুর বাড়িতে যাব, সেখানে থেকে কলেজে পড়ব-_” সতী দেবনাথকে লক্ষ্য করে চেপে চেপে অস্বাভাবিক YOO GF সব বলল এবং সম্ভবত একটা সমর্থনের আশায় তার দিকে তাকিয়ে থাকল। চোখের সামনে আলোর মত কিছু হয়তো দেখতে পেল দেবনাথ | তার খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, থালায় আঙুল ঘষতে ঘষতে নিজের জীবনের ব্যর্থতাকেই সে যেন গোপন করবার চেষ্টা করছিল, “নন্দলালের কথা আমিও ভেবেছি” “একটা চিঠি লিখে দাও বাবা 1” “অনেকদিন দেখা নেই--'করুণ একটা নিশ্বাস ফেলে দেবনাথ বলল, “চিঠি লিখলেই কি আর উত্তর আসবে !” “হ্যা আসবে--”* সতী একটা! অলৌকিক আত্মবিশ্বাসে দিশাহারার মত বলল, “উত্তর a এলেও আমি কলকাতায় যাব, নন্দ কাকার বাড়ীতে "দু-এক দিন থেকে আমি যা-হয় একটা ব্যবস্থা করে নেব-_”* - দেবনাথ অসহায়ের মতন ম্লান হেসে বলল, “কী ব্যবস্থা করবি 2”