অর্থনৈতিক ভূগোল [খণ্ড-১,২] | Arthonaitik Bhugol [Vol. 1-2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অর্থনৈতিক ভূগোলের আলোচনক্ষেত্র ও কার্যাবলী ' t আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগে বিভিন্ন আবিষ্কারের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মানুষের মিয়ন্ত্রণক্ষমতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাইতেছে। মানুষ তাহার বুদ্ধিবলে প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশকে আয়ত্তে আনিয়া নিজের উন্নতির কাজে লাগাইতেছে। নদীর উপর বাধ দিয়া বন্তা-নিয়্ত্রণ, বিদছ্যুৎ-উৎপাদন ও জলসেচের ব্যবস্থা হইতেছে, সার প্রয়োগ করিয়৷ অনুর্বর জমিকে কৃষির উপযোগী Fa হইতেছে। ক্রমেই অধিকতর দ্রুতগামী যানবাহন আবিষ্কার - করিয়া দূরত্বের উৎসাদন করা হইতেছে । অবশ্য সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতিকে বশ FI হয়তো কখনই সম্ভব হইবে না। GAN অঞ্চলে হয়তো কোনদিনই শিল্প প্রতিষ্ঠিত হইবে না, সাহার! মরুভূমিতে হয়তো! কখনই ঘন লোকবসতি হইবে না, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রাকে হয়তো! কখনই সম্পূর্ণভাবে আয়ত্তে আনা যাইবে না। তবুও কোন কোন ক্ষেত্রে প্রকৃতিকে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে বশ করা সম্ভব। সুতরাং asters মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি বা অবনতি প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল, অন্যদিকে প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশকে নিজের কল্যাণে নিয়োজিত করিবার শক্তি মানুষের প্রতিদিন বৃদ্ধি পাইতেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মানুষের কর্মপ্রচেষ্ণার পারস্পরিক সম্পর্ক কিভাবে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর প্রভাব বিস্তার করে, ইহাই অর্থনৈতিক ভূুগোলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। স্বৃতরাংসযে শান্ত প্রাকতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশের সহিত মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি বা অবনতির পারস্পরিক সম্পর্ক বুঝাইয়া দেয়, তাহাকেই অর্থনৈতিক ভূগোলশান্ত্র (Economic’ Geography) বলে 2 বিভিন্ন ভৌগোলিক অর্থনৈতিক ভূগোলের বিভিন্ন দিকের উপর গুরুত্ব আরোপ করিয়াছেন । ম্যাক্ফারলেন (J. McFarlane ) প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর গুরুত্ব দিয়া বলিয়াছেন যে, ভু-পৃষ্ঠের গঠন, জলবায়ু, অবস্থান ইত্যাদি মানুষের উপর যে প্রভাব বিস্তার করে তাহার তত্ত্ব-বিচারকেই অর্থনৈতিক ভূগোল বলা হয়। হারন্টিটনের (Ellsworth Huntington) মতে মানুষের জীবনধারণের জন্য যাহা-কিছু প্রয়োজন তাহাই অর্থনৈতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়। - * মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার বিভিন্ন দিক নিয় অর্থনৈতিক ভূগোল আলোচনা করে | স্বৃতরাং ইহ! একটি সামাজিক বিজ্ঞান (Social Science) | অর্থসীতি (Economies) মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অর্থাৎ অর্থনৈতিক



Leave a Comment