For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ঘুম থেকে ওঠার পরই বমি Sea | ভাল লাগছে না বলে অধিকাংশ সময়ই শুয়ে থাকে।
সংসারের দায়িত্ব তার উপর তাই কষ্ট করে কাজ সামলায়। বিষয়টা সুলেখার নজরে আসে | সুলেখা বুঝে ফেলে চন্দ্রা সম্তানসম্ভবা। এত তাড়াতাড়ি
ABTA আসাটা মেনে নিতে পারে না সুলেখা। ব্যাপারটা বারীনকেও জানায় বারীন চন্দ্রাকে
খুব স্নেহ করে। এত তাড়াতাড়ি ABA আসাটা সেও মেনে নিতে পারলো না। মেয়েটার বয়স
মাত্র যোল বৎসর হয়েছে, নিজের শরীরের গড়ন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তার উপর সম্ভানের
সম্ভাবনা, মেয়েটার শরীরের উপর খুব ধকল যাবে। চন্দ্রার শরীর একদম ভাল যাচ্ছে না। কিছুই খেতে পারে না। প্রায়ই বমি করে।
একদম কাহিল হয়ে গেছে। সুলেখা তাকে বোঝায়, প্রথম তিন মাস এরকম হয়। তারপর ঠিক
হয়ে যায়। তারও এরকম হতো, তাই ভয়ের কিছু নেই। এভাবে কষ্ট করে তিন মাস কেটে
গেলো। চন্দ্র এখন আগের চেয়ে অনেক SICA | খেতে পারে। গা গোলানো, বমির ভাব,
দুর্বলতা আগের চেয়ে অনেক Ba | কাজকর্মও কিছু কিছু করতে পারে। সুলেখাও কিছু সাহায্য
করে, এভাবেই সংসার চলে। আরও তিনমাস চলে গেলো এভাবে | বিপুল এখন কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে
না। মার উপরই সম্পূর্ণ নির্ভরশীল সে | বিপুল একদিন মাকে বলে -_ মা চন্দ্রাকে তো কোন ভাক্তার দেখানো হলো না। এ
ব্যাপারে, তুমি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে বলবে। সুলেখা বিপুলকে বলে — দেখ্, আমার তো দুটো সম্ভান হয়েছে, কোন ডাক্তার তো
দেখাই নি। সবই তো স্বাভাবিক ভাবে হয়েছে। তুই এ ব্যাপারে ভাবিস না, যা করার আমিই
করব। সুলেখা DHS একজন গ্রামের ধাইকে এনে দেখায়। ধাই কিছু ওষুধ পত্রের ব্যবস্থা
দেয় এবং স্বাভাবিকভাবে সম্ভান প্রসব হবে বলে আশ্বস্ত করে। ধাই এসে মাসে মাসে চন্দ্রাকে দেখে যায়। কিছু ওষুধ পত্র দেয়, সঙ্গে দুটো টিটেনাস
টক্সয়েড ইনজেকসনও দেয়। ওষুধ ব্যবহার করে চন্দ্রার সমস্যা কিছু কমে । তবে শরীর দুর্বল
লাগা, মাথা ধরা, খাওয়ায় অরুচি, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি লেগেই থাকে। ইদানিংচন্দ্রা লক্ষ্য করে তার পা দুটো ফুলে উঠেছে। প্রশ্রাবও কম হচ্ছে [AS দেখে
বিপুল চন্দ্রাকে ডাক্তার দেখাতে মাকে আবার ACA | মা বিপুলকে আশ্বস্ত করে বলে — গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে এরকম সমল্যা সবারই
কিছু কিছু হয়। এতে ভয় পাবার কোন কারণ নেই। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে ষাবে।