পাওয়া | Paoya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
না। কিন্তু তা বলে ডিভোর্স ? নিজে মুক্তি পাবে বলে ওই মানুষটাকে কল্যাণী মুক্তি দিয়ে দেবে ? বাবা এ-কথা ভাবল কি করে | ওর সমস্ত শরীর জ্বলে উঠল রাগে । ওই একটাই অস্ত্র ওর হাতে আছে. | জব্দ করার | শাস্তি দেবার | এই অমানুষ, এই বিশ্বাসঘাতক জানোয়ারগুলোকে ভগবান কোনও শাস্তি দেয় না । সমাজ শাস্তি দেবার জন্যে মুখিয়ে আছে শুধু কল্যাণীর মতো অসহায় মেয়েদের । কোলে দু-বছরের একটা নিরপরাধ শিশুকে নিয়ে যাদের বাপের বাড়িতে ফিরে আসতে হয় | প্রথম যখন চলে এসেছিল, চলে আসতে হল, শুধুই প্রচণ্ড এক অশান্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য, সেদিন এই বাড়িটাও হয়ে উঠেছিল অশান্তির অগ্নিকুণ্ । ও নিজের মুখটা তো দেখতে পায়নি, দেখতে পেত শুধু বাবা আর মার মুখ । সে মুখে নিজেরই ছায়া দেখতে পেত | কারও মুখে কোনও কথা নেই, হাসি নেই, কারও যেন কোনও কাজ নেই. ৷ শুধু নিশ্চুপ বসে থাকা, ব্যথার, বিমর্ষতার চাপা কান্না আটকে রাখা । বাবা মার একটাই আশঙ্কা, ডিভোর্স করে দেবে না তো ! যেন ডিভোর্স না করলে একটা ক্ষীণ আশা থাকে, আবার হয়তো কোনওদিন সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে । আবার হাসি আনন্দ, সুবিমলের বিনয়-মাখানো মুখে মাথা নামিয়ে প্রণাম করা । কুশল জিগ্যেস করা, আপনজনের মত | বাবার বুকের ভেতর তখন ওই একটাই আতঙ্ক | সেজন্যেই হয়তো GRIP একদিন বাড়িতে ডেকে এনেছিলেন | was থেকে বৃষ্টির জল ঝরিয়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে হেসে উঠলেন অক্ষয়কাকা | বললেন, ডিভোর্স করবে ? ডিভোর্স পাওয়া এত সহজ নাকি ! কল্যাণীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, তোমার বাবা পাগল হয়ে গেছেন | ara একটু ভয় কল্যাণীরও ছিল । অক্ষয়কাকার কথায় অনেকখানি ভরসা পেল | অনেকখানি শাস্তি | মনে মনে ভাবলে, না ডিভোর্স ও কিছুতেই দেবে না সুবিমলকে, কিছুতেই না। ভেবেছিল, ডিভোর্স না দেওয়াই ওর হাতে একমাত্র অস্ত্র । এই অপমানের, এই সমাজের কাছে মুখ লুকিয়ে থাকার, রিমি বড় হওয়ার পর তাকে সব কথা বলতে না পারার, অথবা বলতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ১৮



Leave a Comment