কামনা বাসনা | Kamana Basana

কামনা বাসনা এই স্বপ্নটপ্নে তখন বিন্দুমাত্র বিশ্বাস ছিল না ঘনশ্যামের | মাকে বলেও ফেলেছিলেন, “ঠাকুর শুধু বাবাকেই নির্দেশ দেন কেন ? কই আমি তো কখনও কোনো ঠাকুরের সঙ্গে ঘুমিয়ে-ঘুমিয়ে কথা বলি না |” মা প্রিয়ংবদা জিভ কোটছিলেন। “ছিঃ বাবা! ওরকম কথা মুখে আনতে নেই। তুই হবার আগে আমি কেষ্টগাকুরের স্বপ্ন পেয়েছিলাম, তাই শান্ত বংশের ছেলে হয়েও তোর নাম রাখা হলো ঘনশ্যাম ।' “তুমি কি বলতে চাইছো, হাওড়া কাসুন্দেতে কার কী নাম হবে এবং হবে না তা নিয়ে ঠাকুরেরা স্বার্গ বসে বসে সারাক্ষণ মাথা ঘামাচে্ছেন ?” মায়ের মন নরম হয়নি | তিনি বলেছেন, “নিশ্চয় হয়, না হলে তোর নাম কালিকাপ্রসাদ না হয়ে ঘনশ্যাম হলো কেন ?” আর SS বাড়ানো যায়নি। স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী ঘনশ্যাম ঘোষাল বাবার বিজনেসে বেরুতে শুরু করেছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া তার. হলো না। প্রথমে একটু আপত্তি ছিল, কিন্তু sari সব বাধা ও দ্বিধা সওদাগিরি কাজের স্রোতে ভেসে গেলো | বিজনেসের গভীরে ঢুকে পড়লেন ঘনশ্যাম | বাবা বলতেন, “বিজনেসের মতন জিনিস নেই, হ্যাদা | ক্যাশ Awa সামনে বসে ঠিকমতন নজর খুলে রাখলে তোর বিশ্বরূপদর্শন হয়ে যাবে। গয়াগঙ্গা কাশী BiB দর্শনের প্রয়োজন হবে না ।” চুপ করে সব কথা শুনেছেন ঘনশ্যাম ঘোষাল | বাবা সুখবিলাস বলেছেন, “বিজনেসটা হলো মন্দিরের পুজোর মতন । স্বয়ং লক্ষ্মী এখানে গণেশের সঙ্গে অবস্থান করছেন। তুমি-আমি সামান্য সেবায়েত AS | মন্দির যেমন পবিত্র রাখতে হয়, পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়, কারবারের জায়গাটুকুও মন্দির মনে করতে হবে। Ala না করে, পবিত্র না হয়ে এখানে কখনও বসবে না ।” সেই থেকেই পুরনো অভ্যাস | ঘনশ্যাম ঘোষাল ভোরবেলায় উঠেই স্নান সেরে নেন | সাতসকালে য়ানের কারণ, কখন মনের মধ্যে বিজনেস ১৮