জ্যৈষ্ঠের হলুদ দুপুর | Jaishther Halud Dupur

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
সব শেষ। স্টুডিয়োর লোকেরাই মণিদার ডেড বড়ি বাড়িতে নিয়ে এসেছে। “জানিস দাদা, মা মণিদাকে Picasa পাঞ্জাবি পাজামা পরিয়ে দিয়েছে। মণিদার শরীরটা ধরে চুপ করে বসে আছে, মাঝে মাঝে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে মাথায় কার কপালে। এ দৃশ্য দেখা যায় না। ঘরে একটা বড় বরফের Bled মণিদাকে শুইয়ে রেখেছে। খুব সুন্দর ফুল দিয়ে সাজিয়েছে। বাড়ি ভর্তি লোক। টেলিভিশনে বার বার মণিদার মৃত্যুর খবর বলছে। ওর গান শোনাচ্ছে। আমি দুপুরেই জামশেদপুর থেকে ফিরে সোজা নাকতলার বাড়িতে এসেছি মণিদার সঙ্গে গল্প করব বলে। বাড়ির সামনে গিয়ে দেখি হাজার হাজার লোক, বড় রাস্তা পর্যন্ত few) রিপোর্টার, টেলিভিশন স্টুডিয়োর লোক। কিছুই বুঝতে পারিনি। ভিড় ঠেলে ঘরে ঢুকে দেখি ঘরের মাঝখানে মণিদা শুয়ে, মালা আর চন্দনে সাজিয়ে দিয়েছে। মা আস্তে আস্তে মণিদার কপালে হাত দিয়ে আদর করছে। মা আমাকে দেখে বলে, ঈশান আয়, ইন্দ্র আর AZ বলে হাউ হাউ করে কান্না।” FAN বলে, “ঈশান বাড়ি থেকে ফোন করছিস তো? ফোনটা ছেড়ে দে। আমি এক্ষুনি ফোন করছি। সব-কিছু শুনতে চাই।” “না রে বউদি, কাল থেকে আবার আমাদের ফোনটা খারাপ হয়ে আছে। আমি পাশের বাড়ির চিত্রার ফোনটা ব্যবহার করছি। ওদের ফোন নাম্বারটা হচ্ছে, ফোর-সেভেন-ওয়ান-টু-টু-টু-থ্রি।” “ঈশান, ফোনটা ছেড়ে দে। আমি ফোন করছি এই নাম্বারে।” ANA বলে। ঘণ্টাখানেক ধরে ঈশান বলে গেল পর পর ঘটনা। অনি আর সব্বাণী শুনছে আর SUR একটু পরে ঈশান বলে, “অনেক HA হল। এবার আমি মা'র কাছে যাই। দিদি, সন্দীপদা চলে এসেছে। খেয়াকে খবর দিয়েছি শিলিগুড়িতে। মণিদার খবরটা ছোড়দা আর উৎসবকে জানিয়ে দে। আমি আর ওদের আলাদা করে ফোন করলাম না। চিত্রাদের ফোন নাম্বারটা ওদের দিয়ে রাখিস। তোরা ঠিক রাত দশটায় চিত্রাদের বাড়িতে আবার ফোন করিস। আমি তখন থাকব। মণিদার শেষটুকু তখন বলতে পারব।” এই বলে ঈশান ফোন ছেড়ে দেয়। অনি বিছানা থেকে উঠে বসবার ঘরের সোফায় গিয়ে বসে। ভোর হয়ে গেছে। পুবদিকের কাচের জানলা দিয়ে প্রথম উষার আলো এসে পড়েছে। সর্বাণী পাশে এসে চায়ের কাপটা এগিয়ে দেয়। “অনি, তুমি এক্ষুনি কলকাতায় চলে যাও। মার কথা ভাবতে পারছি না। VHA শোকে মা বোধহয় পাগল হয়ে যাবে। এখন যদি মা'র কিছু হয়, দুঃখের সীমা থাকবে না। তুমি মা'র পাশে দীড়াও। তুমিই একমাত্র সংসারটা ধরে রাখতে পারবে। নিশা বাপী আর তুলির কী হবে ভাবতে পারি না। একমাত্র তুমিই বোধহয় মাকে সান্তনা দিতে পারবে। ইন্দ্র আর তুমিই ছিলে মা'র ফেভারিট। প্লিজ মা'র কাছে যাও।” অনি উঠে দাঁড়ায়, “দেখি পাসপোর্ট আর ভিসা ঠিকমতো আছে কি ay’ ২২ এই



Leave a Comment