অশ্রুসজল লালকেল্লা | Ashrusaajal Laalakelaa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কুলস্থম জমানী বেগম 7 দিলেন | atte কাদের নামে আমার এক গোলাম ছিল যাকে মুক্ত করে আমি মক্কা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম । এখানে এসে সে অনেক ধনসম্পত্তি উপার্জন করে এবং জমজমের (মক্কার একটি জলম্রোতের নাম, যার জল অতি পবিত্র মনে ea wy) দারোগা হয়ে যায়। আমাদের আসার খবৰ পেয়ে সে ছুটে আসে আর পায়ের উপর আছড়ে পড়ে অঝোরে কাদতে tics তার বাড়ি ছিল খুবই ভাল ও আরামদায়ক । আমরা! সবাই সেখানেই cwal পাতি। কিছুদিন পরে রুমী স্থলতানের নায়েব, যে মক্কায় বাস করত, খবর পেয়ে আমাদের সঙ্গে CHA করতে এল । কেউ তাকে বলেছিল যে দিল্লীর বাদশার মেয়ে এসেছে । পর্দা A করেই কথা বলে | নায়েব স্থলতান Ata কাদিরের মারফত দেখা করার জন্য খবর পাঠাল, আমি তার আবেদন মঞ্জুর করলাম | পরদিন সে আমার বাড়ি এল এবং আদবকায়দা মাফিক ও বিনয়ের সঙ্গে কথাবার্তা) বললো | শেষে সে তার ইচ্ছা জানাল যে সে আমাদের আসার খবর ছজুর স্থলতানকে দিতে চায় । ওঁকে উত্তর আমি খুবই অবহেলায় দিলাম-__-আমরা সবাই এখন অনেক বড় স্থলতানের দরবারে এসেছি। আর আমাদের অন্য কোনো সুলতানের পরোয়া নেই। নায়েব আমাদের খরচের জন্য বেশ ভালো অংকের টাকা মঞ্জুর করে এবং আমরা নয় বছর সেখানেই থেকে যাই | তারপর এক বছর বোগদাদ শরীফে, এক এক বছর নজফ অশরকে ও কারবালায় কাটাই 1 এতদিন কেটে যাওয়ার পর শেষকালে দিল্লীর স্বতি বড়ই ব্যাকুল করে তোলে | তখন দিল্লী কিরে আসি । এখানে ইংরেজ সরকার ভীষণ wae হয়ে মাসিক দশ CTS পেনশন মঞ্জুর করে। পেনশনের টাকার পরিমাণ স্তনে গোড়ায় হাসি পেল। আমার বাবার এত বড় দেশ কেড়ে নিয়ে দশ টাকা ক্ষতিপূরণ। তারপর থেয়াল হল. দেশ তো খোদার, কারুর বাপের নয়, সে যাকে চায় তাকে দেয়। যার কাছ থেকে ইচ্ছে কেড়ে নেয়। মানুষের তো তাতে কিছুই করার নেই |



Leave a Comment