বিক্রমপুরের ইতিহাস [খণ্ড-১] [সংস্করণ-২] | Bikrampurer Itihas [Ed. 2]

দ্বিতীয় সংস্করণের কথা ত্রিশ বৎসর পরে বিক্রমপুরের ইতিহাসের” দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইল। ১৩১৬ সালের ₹০শে আশ্বিন তারিখে ইহার প্রথম সংস্করণ মুদ্রিত হয়, আর এই দ্বিতীয় সংস্করণও প্রকাশিত হইল Fe ত্রিশ বংসর পরে ১৩৪৬ সনের ৩০শে আশ্বিন তারিখে TRA জীবন ক্ষণস্থায়ী, আমার অনেক সময় এইরূপ একটা কথা মনে হইয়াছে বুঝিবা আমার জীবিতকালে এই গ্রদ্বের দ্বিতীয় সংস্করণ আর প্রকাশ করিয়া য।ইতে পারিব না, কেন না ত্রিশ বৎসর কাল মানুমের জীবনে বড অল্প সময় নহে | সেই যৌবনের HATH ২৪২৫ বংসর মাত্র wey যে দুঃসাহসিক কার্য্যে হাত দিয়াছিলাম, আবার প্রৌঢ় বয়সে সেই কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছি। ঈশ্বরের Sl aelw ইহা কখনও সম্ভবপর হইতে পারে না, তাই সর্বাগ্রে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে মাথা নত করিতেছি। বিক্রমপুরের ইতিহাস' যে সময়ে প্রকাশিত হয় সেই সময়ে প্রতিহাসিক বিয়া যাহারা জনসমাজে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়। ছিলেন, তাহাদের নধ্যে অনেকেই আজ পরপারে চলিয়া গিয়াছেন। আজ তাহাদের Gewese শ্রদ্ধা নিশেদন করিতেছি। আমার পিতা ও মাতা ছুই জনেই “বিক্রমপুরের ইতিহ।স” প্রকাশ সম্পর্কে একাস্ত উৎসাহী ছিলেন। fryer প্রথম সংস্করণের গ্রন্থ প্রকাশের পূর্বোই tasted চলিয়া গিয়াছিলেন। আমার মাতাও আজ দশ বৎসর হুইল দেইত্যাগ করিযাছেন। আমার সাহিত্যাহরাগ, আমার জনক-জননীর স্নেহে ও উৎসাহেই পরিবদ্ধিত হইয়াছিল। ate বিক্রমপুরের ইতিহাসের” দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করিতে যাইয়া তাহাদের কথা মনে পড়িতেছে। তাহারা পরপার হইতে আমাক্কে আশীর্মাদ করিতেছেন বলিমাই এই BH সম্পন্ন করিতে সক্ষম হইলাম | ১৩১৭ সালের “সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকার” ২য় সংখ্যায় ১৩.৬ সালের বঙ্গসাহিত্যের যে বিবরণ প্রকাশিত হয় তাহাতে ইতিহাস ও ভূগোল গ্রন্থসমূহ্রে মধ্যে “বিক্রমপুরের ইতিহাসের” নাম সর্্নাগ্রে উল্লিখিত হইয়াছিল | সে সময়ে ইতিহাস আলোচনা সম্পর্কে বিবরণী লেখক অমূল্যবাবু মন্তব্য করিয়া ছিলেন, —“aq প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে শৃঙ্খলাবদ্ধতাবে রচিত ইতিহাস ছিল ali পুরাণই ইতিহাসের কার্য্য করিত। বৌদ্ধযুগ হইতেই ইতিহাস-রচনা প্রথার প্রবর্তন হইল । কিন্ত তখনও fee গ্রন্থ রচিত হয় নাই; তাম্রফলক বা শিলাস্তম্ভই কথঞ্চিৎ সে উদ্দেশ্য সাধন করিত। তাহার পর যখন রীতিমত ইতিহাস রচনা আরম্ভ হইল, তখনও বৈদেশিকদের অনুকরণেই TET গ্রন্থ হইল, তাহার মৌলিকতা রহিল না। * * কিন্তু