বঙ্গসাহিত্যের বিজ্ঞান | Banga Sahitye Biggyan

1 এগারো | অব্যক্ত ষ্টেশনের যাত্রী আমাদের গাড়িতে নজর নেই--আমরা যেন প্ল্যাটফর্মে HSAs | এই প্রতীক্ষাটুকু মানবজীবন মনে করে আশেপাশে কোনো face মন না দিয়ে ডিম্টাণ্ট সিগ্ন্ঠালের frre তাকিয়ে থাকাই আমাদের ধর্ম। এই অধ্যাত্মসর্বস্বতার কুজ্মটিক। সর্বদ। ঘিরে থাকলে বাস্তবদৃষ্টি প্রসারিত হয় না। বিদেশের হাওয়া এসে সেই কুয়াশা Afra পাতলা করে দিলে পরে তবেই আমাদের বিজ্ঞান-অনুমন্ধিৎহস| জেগেছে | are] হচ্ছে, আমার এই কথায় অনেকে আপত্তি তুলবেন । কিন্তু আমি “অধ্যাত্মসর্বস্বতা” বলেছি, “অধ্যাত্মপ্রবণত” বলি নি,--এটুকু মনে রাখলে ভুল বোঝার সম্ভাবন। থাকবে না। আমরা ভারতীয়র] অধ্যাত্মপ্রবণ। সে আমাদের দেশের সেই চিরকালের স্বভাবের মধ্যে, যে স্বভাবে আমাদের বেশি ঘাম হয়,রঙ আমাদের ময়লা, এবং আরো৷ অনেক কিছু। যা স্বভাব তা ভালোমন্দ বিচারের বাইরে, তা গৌরবেরও নয় অগৌরবেরও ময়। আমাদের অধ্যাত্মপরায়ণতার সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার কোনো মৌলিক অসঙ্গতি থাকতে পারে না। কালে কালে আমাদের দেশে যে সব সত্যদ্রষ্ট৷ মনীষী জন্মেছেন তাঁরা সাংসারিক সত্যকেও সত্য বলেই স্বীকার করেছেন। এঁতরেয়-ত্রাহ্মণে এক জায়গায় আছে, যখন কেউ বলবে আমি এ ব্যাপার চোখে দেখেছি, তখনই সেটা ঠিক সত্য বলে গ্রহণ করবে ।' বকতে বকতে বঙ্গদাহিত্যে বিজ্ঞান ছাড়িয়ে অনেকদূর এসেছি। আর AF ডক্টর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইয়ের যে উপযুক্ত সমাদর হবে এ বিশ্বাস আমার আছে। Sat বুদ্ধদেব বিজ্ঞান ও সাহিত্য--সত্যের এই ছুই মহাপীঠেরই বিদ্যার্থী। বাংলাসাহিত্য ও বিজ্ঞান এই দু নৌকা একসঙ্গে চালিয়ে যে দক্ষতা দেখিয়ে ইনি উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁতে আমার প্রশংসা sear) আশ! করি তার এই দ্বৈনাবিকতার পরিচয় আমর] আরো পাব। শ্রীসুকুমার €সন