দুটি প্রতীক্ষার কারণে | Duti Pratikshar Karane

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ওপরঅলার ইচ্ছেটা MIA) নতুন সরকারী সড়ক হয়েছে ফলে' দূর দূর গাঁয়ের লোকেরা বাইরের ছুনিয়ার খবর পাচ্ছে আজকাল | এক জায়গায় এসে পারেখ এমনি কথায় কথায় জানালো, সামনের ওই জঙ্গল পেরিয়ে আরো মাইল দেড় ছুই গেলে বিঠল গী। সেখানে অনেকদিন হল এক বংগালী” মাইজি থাকে ৷ সেখানে ছোট্ট একটা হাসপাতাল করেছে আর বর্ষায় এক-একবার অমৃত, গঙ্গা গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে বাইরের এন্জিনিয়ার ডাকিয়ে ওই মাইঞ্ি একটা বাঁধ বানিয়ে দিয়েছে। মাইজির প্রসঙ্গ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বুড়ো পারেখের মুখে এক অকৃত্রিম ভক্তিশ্রদ্ধার আবেগ লক্ষ্য করল অবনীশ দত্ত। বুড়ো বলে গেল, মাইজির ডাকে গাঁয়ের ছেলে বুড়ো মেয়ে পুরুষ বিনে পয়সায় খুব উৎসাহ নিয়ে নিজেরাই ওই অমৃত, গঙ্গার বাধ গড়েছে । বিঠলের লোকের জন্য ওই মাইজি আরো কত কি করেছে ঠিক নেই ।...মাইজির কথা এখন দূরের গাঁয়ের লোকেরাও জানে, স্থযোগ স্মুবিধে করতে পারলে তারাও এসে মাইজিকে দেখে যায়। পারেখেরও মাইজিকে একবার দেখার ইচ্ছে খুব, কিন্তু এতদিনেও তার সেই ভাগ্য হুয়নি। সবই Baw বল| যেতে পারে। নইলে তামাম ভারতের কোথায় না ঘুরেছে অবনীশ দত্ত, গোড়ায় গোড়ায় মনেও হয়েছে কোথাও না কোথাও একদিন এক মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। কিন্তু এতদিনে সেই একজন স্মৃতি থেকেও প্রায় MALAI হয়ে গেছে । বুড়োর মুখে এতটা শোনার পরেও সেই স্মৃতি তরতাজা হয়ে ওঠেনি | মাইজী বাঙালী শুনেই যা একটু আগ্রহ হয়েছিল অবনীশের | কোনো বৃদ্ধা সম্ন্যাসিনী হবেন ধরে মনিয়েছিলেন। কিন্তু এ-রকম জায়গায় বাঙালী সন্ন্যাসিনীর অবস্থানের কথা বড় একটা শোনা যায় না। বলেছিল, চলো তাহলে বিঠল ঘুরে আসি আঁর মাইজিকেও দেখে আসি। পারেখ খুশি । এদিকে তখন বিকেল গড়াতে চলেছে, ফিরতে ১৮



Leave a Comment