For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)(গ ) আমরা মনে করি প্রত্যেক বস্তুর চারিদিকে যে ক্ষুদ্রতার সীমা
আছে তাহাই বুঝি একান্ত সত্য। fey এই কথাই কি পরম
সত্য ? প্রত্যেক বস্তুই ও প্রত্যেক মানবই যে আবার তাহার
ইন্দ্রিয়গ্রাহ সকল সীমা অতিক্রম করিয়| মহাগৌরবে বিরাজমান,
এই লীলাই সাধক দেখিতে চাহেন। সাধকের সাধনাপুত নয়নে
অণু আর অণু নাই--“সমত্বং গিরি সর্যপয়োং২১-_“সর্যপ ও পর্ববত
দুই-ই সমান”; এই এখানেই দর্শক ও jae একান্ত বিভিন্ন
হুইয়] গিয়াছেন । যে কেবলমাত্রে চাহিয়] দেখিতেছে সে ত বস্তুর
চতুদ্দিকন্থ ক্ষুদ্রসীমাগুলিকেই বড় করিয়৷ দেখিবে; কিন্তু যে
হৃদয় দিয়৷ দেখিতেছে ও yer করিতেছে, সে ত এই সীমার
বন্ধন হইতে মুক্তিলাভ করিয়| বসিয়াছে। এইখানেই এঁতিহাসিকে ও ভক্তে প্রভেদ। এতিহাসিকের
কাছে কোন বিশেষ ব্যক্তির কোন বিশেষ স্থান বা কোন বিশেষ
কাল তাহার আপনার চতুর্দিকের সীমার মধ্যে আবদ্ধ , কিন্তু
ভক্তের নয়নে সেই সব সীমা কোথায় মিলাইয় যায়। সকল
জগৎ যেমন, ব্রজডভুমিও তেমনি, কিন্তু বৈষ্ণবের নয়নে সেই
ভূমির কি আর তুলনা আছে 1? সে যে দেখে দেখে না, সে RH
করে। যখন মহাপ্রভু চৈতন্য জন্মগ্রহণ করেন তখনও দিনরাত্রি
আছজিকারই মত নিষ্পন্ন হইত; কিন্তু সেই পুণ্যযুগে জন্মগ্রহণ
ক্রেন নাই aa ভক্ত বৈষ্ণব বাসুদেব ঘোষ জীবনকে ধিক্কার
দিয়া বলিয়াছেন-_“জীবন বৃথা,” নরোত্তম দাস বলিয়াছেন
“নরোত্তম দাস কেন না গেল মরিয়া 1”