কবিতার ধর্ম ও বাংলা কবিতার ঋতুবদল | Kabitar Dharma O Bangla Kabitar Ritubadal

কবিতার ধর্ম © সন তারিখের হিসেব অথবা! রচনাবলীর লম্বা ফিরিস্তি দেওয়াই তাদের সমালোচনায় স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে টাড়িয়েছে। ইংলণ্তেও, ছুচারজন ব্যতিরেকে (atom, মিডলটন মারে অথবা কার, রিচার্ডস-এর মত সমালোচক) সকল সমালোচকই কবি, প্রায় প্রথম শ্রেণীর কবি। এবং হয়ত তাই স্বাতাবিক। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের পর একাজ যে ক'একজন কবি করেছেন তার মধ্যে প্রধানতঃ উল্লেখযোগ্য মোহিতলাল ও সুধীন্ত্রনাথ। ২শতঃ বুদ্ধদেব বঙ্গ ও প্রমথনাথ FAR? | সম্প্রতি কিছুদিন পূর্বে প্রকাশিত জীবনানন্দ দাশের বইটি (কবিতার কথা £ জীবনানন্দ দাশ) al প্রসঙ্গে তম্নিষ্ঠ আলোচনার দাবী রাখে। প্রধানতঃ তিনি একজন কবি এবং আলোচ্য বিষয়বস্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাব্যের wa, রসবস্তু, উৎপত্তিবাদ ইত্যাদি মৌল serge fafa) এবদ্বিধ ছুটি কারণেই এই গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য | বাংল! কাব্য.সমালোচনা, বিশেষতঃ: মৌল বিচার এতই অপ্রতুল যে এ ধরণের প্রচেষ্টা মাত্রই প্রবীণ ও নবীন কবি সম্প্রদায়ের কাছে সমাদরে গৃহীত হবে। হালের মানপিকত। GHA চটুল এবং খবরের-কাগজী সমালোচনার ধরণ এমনই গভীরে সৎ চিস্তাশীলতাকেও দুষিত করেছে যে শিল্প সাহিত্য সঙ্গীতের অস্তনিহিত সৌন্দর্যসুযমা প্রায় লুপ্ত we বসেছে। কৌলিষ্তের এমন ছুর্গতির মুখে মৌল ও আত্মগত চিস্তাধারাই সম্ভবতঃ আমাদের অবিরল স্ষ্টিকার্যে নতুন করে case দিতে পারে, একই সঙ্গে চিন্তার Cee ও বর্তমান সময়ের ছুরপনেয় মানসিক ব্যাধির হাত থেকে মুক্তি পাওয়াও হয়ত অমভ্ভব নয়। যিনি দীর্ঘদিন নিরলসভাবে কবিতার চর্চ৷ করে যাচ্ছেন তার মনে মধ্যে মধ্যে একথাও উদিত হয়, কি করে আমি লিখি, কেন লিখি, কেন সে লেখা কথনে] ভালো, কখনো মন্দ হয়, কেনই বা সাধারণ পাঠক তা পড়ে কখনো নিরানন্ব, কখনো আনন্ব পেয়ে থাকেন। কবিতার অন্তরঙ্গ বছিরঙ্ইই বা কি, রস, ধ্বনি অথব৷ নানাবিধ বিচার্য বিষয় নিয়েই বা আলঙ্কারিকর| মাথা ঘামিয়েছেন কেন ইত্যাদি ইত্যাদি। সচেতন কবিমাত্রই এবগ্রকার চিন্তা- ভাবনা দ্বারা পীড়িত হবেন। পীড়িত হবেন, কেননা এ সকল প্রশ্নের কোন সহজ সরলীকরণ নেই, জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধ প্রামান্ক বস্তুর মত সর্বজনগ্রাহ মত ২ অংশতঃ বলবার Sows এ রা কেউই কবিতার মৌল আলোচনায় যান নি।