তলস্তয় উপন্যাসসমগ্র [খণ্ড-৪] | Tolstoy Upanyas Samagra [Vol. 4]

নবভজন্ম ৩ সাদা রুমাল, আর তার নীচ fred কয়েকগুচ্ছ কালো চুল ইচ্ছারতভাবেই কপালের উপর চেপে বসানো হয়েছে। স্রীলোকটির মুখের রং সেই ধরনের সাদা যেটা দীর্ঘদিন আটক-থাকা মানুষের মুখে দেখা যায়, বা যা ঢেখলে মাটির নীচের ঘরে রাখা আলুর নবোদগত অস্কুরের কথা মনে আসে । তার ছোট dew ছু'খানি হাতে এবং আলখাল্লার চওড়া কলারের নীচ দিয়ে বেরিয়ে আসা গলায়ও 'সেই একই রং। ছুটি কালো ঝকঝকে চোখ, একটা ঈষৎ টেরা, তার মুখের বিবর্ণ আভার সম্পূর্ণ বিপরীত | সে খুব মোজা হয়ে হাটে, ফলে তার পুরো বুকটাই ফুলে ওঠে | মাথাটাকে সামান্য পিছনে হেলিয়ে জেলারের চোখের দিকে সোজা তাকিয়ে সে করিডরে গিয়ে দাঁড়াল, যেন যে কোন আদেশ পালনে সে প্রস্তুত । জেলার দরজায় তালা লাগাতে যাবে এমন সময় একটি কুঁচকানো-চামড়া কড়া চেহারার 'বৃদ্ধ স্ত্রীলোক সাদা মাথাটা বের করে মাসলভার সঙ্গে কথা বলতে স্তরু করল। কিন্তু দরজার ধাক্কায় বৃদ্ধার মাথাটা ভিতরে চুকিয়ে দিয়ে রক্ষী দরজাটা বন্ধ করে fra) সেলের ভিতরে নারী-কণ্ঠের হাসি শোনা গেল। 'সেলের দরজার ছোট গর্তটার দিকে ফিরে মাসলভাও হাসল st থেকে AST উপর মুখটা চেপে ধরে বৃদ্ধা কর্কশ গলায় বলল : “মনে রেখ, ওরা যখন জেরা WH করবে তখন একই কথা বার বার বলে যাবে; বাজে Fa) একটাও বলবে না । “কিন্ত যা হয়েছে তার চাইতে খারাপ আর তো কিছু হবে না? আমি চাই 'এসপার-ওসপার একটা কিছু হয়ে যাক ॥ উপরওয়ালার আত্ম-নিশ্চিত ভঙ্গীতে চিফ জেলার বলল, 'এসপার-ওসপার GFE) তো APY WA নাও, এখন চল! বৃদ্ধার চোখ ছুটি গর্তের ভিতর থেকে GPM হয়ে গেল, আর মাসলভাও -করিডরে পা ফেলল । চিফ জেলারকে সামনে রেখে তারা পাথরের সিড়ি বেয়ে নীচে নামতে লাগল; পুরুষ ওয়ার্ডের আরও দুর্গন্ধময় ও হৈ-চৈ ভরা সেলগুলো পার হল; দরজার প্রত্যেকটি গর্তে চোখ লাগিয়ে সকলে তাদের দেখতে লাগল; শেষ পর্যন্ত তারা আপিসে পৌছল ; স্রীলোকটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবার we সেখানে দুটি সৈনিক অপেক্ষা করছিল। যে কেরাণীটি সেখানে বসেছিল সে তামাকের ধোঁয়ায় মলিন একটুকরো কাগজ একজন সৈনিকের হাতে দিয়ে দ্রীলোকটিকে দেখিয়ে বলল, “একে নিয়ে ate |’ একটি সৈনিক frat Testers চাখী। লাল মুখে বসন্তের দাগ | .কোটের আনস্তিনের ভিতর কাগজখানা গুঁজে রেখে কয়েদীর দিকে এক নজর তাকিয়ে সে তার সঙ্গী চওড়া-কাধ জনৈক চুবাসকে (রাশিয়ার অধীনস্থ .এসিয়ার একটি জাতি) চোখ ঠারল । তারপর কয়েদী ও সমৈনিকদ্বয় প্রধান