কন্ঠে পারিপার্শ্বিকের মালা | Kanthe Pariparshwiker Mala

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
'আমি জানি না বাবু। আমি তো বেশি খবর করতে পারি না। গ্রামের স্কুলের মাস্টাররা fafa পয়সায় পড়ান, বইও দিয়েছেন।' 'থাকবে কোথায়? ডায়মন্ড হারবারে থাকার জায়গা আছে? 'আমাদের গাঁয়ের একজনের শ্বশুরের মুদির দোকান আছে ওখানে। দোকানের পেছন দিকে দু-তিনজন শুতে ATA! সেখানেই ব্যবস্থা হয়েছে। S| তা কাল থেকে আমার কি অবস্থা হবে?' 'বাসনমাজা দিদি তার ননদকে ক'দিনের জন্যে দেবে বলেছে।' “ও। কবে যাচ্ছ? 'আজই। দুপুরের কাজ শেষ হলেই যাব। চা খেতে খেতে কথা বলছিল Cs! খাওয়া শেষ হলে মদন ট্রে নিয়ে চলে গেল। খবরের কাগজে চোখ বোলাল সৌগত। সেই একই খবর। মিনিট দশেক পরে পাজামা-পাঞ্জাবিতে সেজে সৌগত ঘর থেকে বেরিয়ে এল। হলঘরের ওপ্রাশে মায়ের ঘরের দরজা ভেজানো। তবু সেটা খুলল সৌগত। মা ঘুমোচ্ছে কাত ACA! শরীর খারাপ নয় তো! সে এগিয়ে গিয়ে মায়ের কপালে আঙুল রাখল। না, চামড়া ঠান্ডা। রমা চোখ খুললেন। Gnas জিজ্ঞাসা করল, “ঠিক আছ cor?’ হ্যা ‘ew! অনেকদিন বেঁচে থাকতে AeA’ “কেন?' রমা মাথা না তুলে জিজ্ঞাসা করলেন। “তুমি শোনোনি। মানুষ মরে গেলে ভগবানের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। স্বর্গ কিংবা নরকে আর পা ফেলার জায়গা নেই। সেখানে জায়গা না হওয়া পর্যন্ত মানুষের মরা চলবে না তাই আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছেন। ঘুমোও।” সৌগত বেরিয়ে গেল। রমা চোখ বন্ধ করলেন আবার। তার মেজো ছেলের স্বভাব হল অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলা। কিন্তু সত্যি যদি তেমন হয়! স্বর্গ-নরকের দরজা যদি ভগবান TH করে দেন তাহলে কি দুর্দশা হবে তার? দ হয়ে বেঁচে থাকলে হবে পৃথিবীতে। রমা ধড়মড়িয়ে উঠলেন। তারপর বিছানা থেকে নেমে ধীরে ধীরে ছোট কাচের আলমারির সামনে এলেন। এই আলমারিতে তীর পড়া প্রিয় বইগুলো রয়েছে। দেখে দেখে যেটি বের করলেন তার নাম “দেবযান”। চশমা পরে বহুবার পড়া বইটির প্রথম পাতায় চোখ রাখলেন তিনি। দোতলা থেকে নেমে বউদির সংসারে ঢুকল সৌগত। ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসে গৌরী তখন একটি অল্পবয়সি মেয়ের সঙ্গে কথা বলছেন। সৌগত জিজ্ঞাসা করল, ‘afl নতুন খবর? মাথা নাড়লেন গৌরী, It | মদন দেশে যাচ্ছে ছেলের পরীক্ষার জন্যে । ও যদ্দিন না আসে তদ্দিন এই মেয়েটা কাজ করবে। ওর নাম রেখা। ১৮



Leave a Comment