মাতাল সমগ্র | Matal Samagra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আর কিছুই করার থাকে না। তবে এমন অনেক লোক আছে, যারা কিছু পরিমাণ মদ্যপান করে খুন-ডাকাতি করতে যায়, বলাৎকারের চেষ্টা করে কিংবা বলাৎকার করেই ফেলে, তাদের কথা আলাদা। এদিকে লম্পটের মদ্যপ হলে বিপদ। তাকে ভেবেচিন্তে, মেপে চলতে হয়। তার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তাকে নানারকম অভিনয় করতে হয়, মুখোশ পরতে হয়। মাতালের মুখোশ নেই। সে অভিনয় করতেও অপারগ। তার পক্ষে রমণীর মন জয় করা Bq | তবে কখনও কখনও দেখা যায় (মদ্যপের প্রতি সহানুভূতি চিন্তা) অনুকম্পাবশত অনেক মহিলা কোন কোন মাতালের জন্য দুর্বলতা পোষণ করেন, অবশ্য সেই মদ্যপ যদি কোন কবি বা শিল্পী কিংবা বখে যাওয়া প্রতিভা হয়। এসব তত্ত্বকথা, কচকচি মোটেই সুবিধের নয়। বরং এবার মাতালের গল্পে চলে যাই। তবে এখানে আমার একটা বিশেষ অসুবিধে আছে। মদ ও মাতাল নিয়ে আমি এযাবৎকাল এত বেশি গল্পকথা লিখেছি যে পাঠক-পাঠিকাদের সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক-_গল্পগুলো নতুন তো? নাকি নতুন বোতলে পুরনো মদ। সত্যি কথা এই যে, শুধু মদ আর মাতাল নয়, যে-কোন বিষয়েই নতুন গল্প পাওয়া কঠিন। তবু এরপরে যে গল্পগুলি পাঠকের দরবারে পেশ করছি তার একাধিক গল্প টাটকা এবং আনকোরা | প্রথম গল্পটি আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের, এ গল্পটি জ্ঞানত অদ্যাবধি কোথাও লিখিনি। মধ্য কলকাতায় পুরনো জানবাজার অঞ্চলে একদা বারদোয়ারি নামে একটি দিশি মদের পানশালা অর্থাৎ শুঁড়িখানা ছিল | হয়ত এখনও আছে, বাজার-ভাটিখানা-মেলা- বেশ্যাপাড়া-ধর্মস্থান এগুলো সহজে অবলুপ্ত হয় না। উঠে গেলেও আশেপাশে টিকে থাকে। সে যা হোক, নবীন যৌবনে FRAN সহযোগে কখনও কখনও ওই বারদোয়ারিতে যেতাম। সেখানে এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সুধামাধববাবু। মিলের ধুতি আর নীল ফুল শার্ট, নেহাত ছাপোষা গৃহস্থ। তিনি বেলঘরিয়া থেকে এই বারদোয়ারিতে আসতেন। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘qs দূর আসেন?” তিনি বলেছিলেন, 'পাইটে চার আনা ABI AA! এরপরে যখন আমি বললাম, “যাতায়াত খরচা তো Bear’ সুধামাধববাবু বলেছিলেন, “যাতায়াত খরচা হিসাব করে যতক্ষণ পর্যন্ত মদের দামে উশুল না হয় খেয়ে যাই। ঠকবার লোক আমি নই।” এরকম যুক্তি মাতালের পক্ষেই সম্ভব। এই WA CEN পড়ে গেলে পুলিশকে বলে, 'এখন আর আমি তোমার এলাকায় নই, যাও জলপুলিশ ডেকে Bey!’ ২০



Leave a Comment