শতবর্ষের সেরা প্রেমের উপন্যাস ২ | Shatabarsher Sera Premer Upanyas 2

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
১৬ শতবর্ষের সেরা প্রেমের উপন্যাস ২ ওষুধটা একটু তীব্র-_” Bara একটা বই পড়িতেছিলেন। বই হইতে মুখ তুলিয়া বলিলেন, “আপনার গালে যদি ঠাস ঠাস করে ছটা চড় মারা দরকার হয় তিন চড়ে শানাবে কি? UT চড়ই মারতে হবে। তিন দাগ ওষুধে হলে আমি Quin দিয়েছি কেন--” SAA চোখ পাকাইয়া উঠিয়া দাঁড়াইয়া ছিলেন, Ae fifsa অবিলম্বে সরিয়া পড়িলেন। চতুর্থ যে ঘটনাটি পল্লবিত হইয়া চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল সেটি ঘটিয়াছিল প্রায় মাসখানেক পরে। স্থানীয় রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার যোগেশ রক্ষিত রেলওয়ে কোম্পানীতে একজন মান্যগণ্য ব্যক্তি। গৌফ-জোড়া বেশ পুষ্ট, বুকের ছাতি বেশ চওড়া, হাত-পায়ের পেশীগুলি বেশ সমৃদ্ধ। চোখ দুটি বেশ বড় বড় এবং লাল। দেহের বর্ণ মসীনিন্দিত। তাহার গর্ব যে তিনি যার-তার সহিত মেশেন না। আলাপ করিবার মতো লোকই নাই শহরে, এই তাহার ধারণা। মাঝে মাঝে ফিরিঙ্গি ডি-টি- এস মিস্টার স্কটের বাড়িতেই যান, যখন সময় পান। ডাক্তার GAM ঘোষালকে তিনি মানুষের মধ্যেই গণ্য করিতেন না। বলিতেন, উনি হচ্ছেন কাদার গৌজ। যে দিকে টান সেই দিকেই হেলিয়া থাকিবে। যদিও WIAA কড়া ব্যবহারে সকলে প্রথমটা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হইয়া পড়িয়াছিল কিন্তু অশ্মীশ্বর নিজের ব্যক্তিত্ব, চিকিৎসা-নৈপুণ্য এবং চরিত্রের জোরে সকলের অন্তরে প্রবেশ করিয়াছিলেন, মাখনের তালের ভিতর ছুরির মতো। তাহাকে অস্বীকার করিবার উপায় ছিল না। তিনি কড়া লোক সন্দেহে নাই, কিন্তু ডাক্তারও অসম্ভব রকম ভাল। তাছাড়া, কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশ হইয়া পড়িল তিনি লেখকও। ছবিও আঁকিতে পারেন। ছদ্মনামে সে-সব লেখা আব ছবি ছাপাও হয়। কিছুদিনের মধ্যেই আশঙ্কা-সম্মান-কৌতূহল-মিশ্রিত একটা আবহাওয়া সৃষ্টি করিয়া ফেলিলেন তিনি নিজের চারিদিকে। তিনি কখনও কাহারও বাড়িতে যাইতেন না। অবসর সময়ে নিজের ড্রইংকমের ইজিচেয়ারে বসিয়া থাকিতেন, আর পা দোলাইতেন, মুখে চুরুট, হাতে বই। ইঞ্জিনিয়ার যোগেশ রক্ষিত একদিন স্থবির করিলেন, তিনি Gaba ডাক্তারের উপর অনুগ্রহ করিবেন, অর্থাৎ তাহার বাড়ি গিয়া তাহার সহিত গল্প করিয়া আপ্যায়িত করিবেন তাহাকে। গেলেন একদিন | অগ্লীশ্বরের সহিত তাহার সাধারণভাবে আলাপ ছিল, একজন অফিসারের সঙ্গে আর একজন অফিসারের যেমন থাকে। “গুড় মর্নিং ডাক্তারবাবু, কেমন আছেন-_” “প্রবলভাবে ভাল আছি। “ঘরে-বাইরে” পড়ে শেষ করলুম একটু আগে-_” “ঘরে-বাইরে? সেটা আবার কি।” “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম শুনেছেন?” “হ্যা, ওই যিনি বোলপুরে শাস্তিনিকেতন করেছেন তিনিই তো--” “হ্যা, তিনি বইও লেখেন।” “ও |” ইহার পর রক্ষিত মহাশয় যে-সব গল্প ফাদিলেন তাহা ইঞ্জিনিয়ারিং গল্প এবং সমস্ত গল্পগুলির মধ্যে তাহার ‘wie’ কলকল-নিনাদে আত্মজাহির করিতে লাগিল। তিনি area কোথায় ব্রিজ ডিজাইন করিয়াছেন, কোন কোন বিলাতী-ডিত্রীধারী ইঞ্জিনিয়ারকে ‘a’ করিয়া দিয়াছেন, তিনি না থাকিলে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট কিভাবে অচল হইয়া যাইত-_এইসুব গল্প। হঠাৎ BAIA বলিলেন, “দেখুন দেখুন, কেমন একটা অদ্ভুত MA) |ল্যাজটা ঠিক সাপের wt” ‘ay>”? “ওই যে তেঁতুলগাছের ডালটায় বসে আছে।”



Leave a Comment