পল্লীকথা | Pallikatha

দুইখানি পেয়াজ-রঙের শাড়ী আনিয়া একখানি oes ও অন্যখানি সুভাষিণীকে প্রদান করিলেন | আহাদী বায়না ধরিল, “ও দু'খান কাপড়ই আমি নেব 1” নয়নতারা বলিলু, সুভা তোর কাপড়খান GIANTS দে | তোর অনেক কাপড় Bite, তাই পবে' পুজো দেখিস; নতুন শাড়ী না হলেও পুজো দেখা যায় ।” সুভাষিণী বিনা-প্রতিবাদে শাড়ীখানি মামীমার হাতে দিল ; তাহার পর সে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বাসন মাজিতে গেল ৷ সংসারের যত বাসন, সমস্তই তাহাকে প্রত্যহ পরিষ্কার করিতে হইত | সন্ধ্যার সময় প্রতিবেশী গাঙ্গুলীবাড়ীতে ঢাক ঢোল বাজিয়া উঠিল : মা yoke আরতি আরম্ভ হইল | ধূপের সৌরভে চারিদিক পূর্ণ হইল | গ্রামের স্ত্রী পুরুষেরা দলে দলে গ্রাম্যপথে পূৃজাবাড়ীতে আরতি দেখিতে ছুটিল | নয়নতারা আহ্াদীকে লইয়া আরতি দেখিতে চলিল ; সুভাষিণীকে ডাকিল না, সে-ও তাহার সহিত যাইবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করিল ayy মামীমার এতদিনের দুর্বাবহারে--উপেক্ষায় ও বিরাগে বালিকার শিশুহৃদয ক্ষতবিক্ষত হইয়াছিল ; কিন্তু আজ তাহাকে ফেলিয়া আহাদীকে লইয়া পূজা দেখিতে যাওয়ায় তাহার যত কষ্ট হইল, মামী-মার অন্য দিনের নানাপ্রকার কঠোবতর ব্যবহারেও তাহার তত কষ্ট হয় নাই ।-_সুভাষিণী ঘরেব বারান্দার একপাশে বসিয়া দুই হাতে মুখ গুজিয়া ফুলিয়া-ফুলিয়া কাঁদিতে লাগিল | তখন wan উত্তীর্ণ হইয়াছিল ৷ শারদ-সপ্তমীর খণ্ড চন্দ্র মধ্যাকাশে বসিয়া রজতকিরণধারায় ধরাতল প্লাবিত কবিতেছিল | শবতের নির্গলিতাম্ব গর্ভ শুভ্র cet চন্দ্রকরোজ্জ্বল অম্বরপথে অতি ধীরে ভাসিয়া যাইতেছিল ৷ Wa বৃক্ষেব নিবিড় পল্লবরাশির MATA বসিয়া একটা পাখী মধ্যে মধ্যে “চোখ.গেল' 'চোখ গেল' শব্দে নৈশ-প্রকতির নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিতেছিল ৷ Ween ডোবার ধারে GIGS রজনীগন্ধার ঝাড় হইতে সদ্যো-বিকশিত রজনীগন্ধাস্তবকের মুদুগন্ধ সুশীতল নৈশ-সমীরণপ্রবাহে ভাসিয়া চতুর্দিক সৌরভাকুল কারতেছিল | পূজাবাড়ীতে আরতির ঢাক তুমুল ATH বাজিয়া-বাজিয়া তখন থামিয়া গিয়াছিল ; কেবল ভূ-বিববমধ্যবত্তী ঝিল্লীর অশ্রান্ত তানপুরা তখনও নীরব হয় নাই | দূর বনে কদাচিৎ দুই একটা নিশাচর পক্ষীর বিকট কণ্ঠস্বর রজনীর গাম্তীর্য্য বদ্ধিত করিতেছিল . এবং শগ্রাম্য-নরনারীগণ আরতি দেখিয়া গৃহে ফিরিতেছিল | বালক-ভৃত্য গৌরে গরুব Grae মাখিয়া দিয়া হাত ধুইয়া তাহার নূতন 'ফোতা' (চাদর)-খানি মাথায় বাঁধিল : তাহার পর তৈলপক্ক বাঁশের লাঠিখানি ১৬