শ্রীকান্তে শরৎচন্দ্র | Srikanter Saratchandra

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বহুল পরিচিত জীবনকে বিচিত্র ভাবে দেখাবার নিপুণত] ও নাধারণ আবেগকে পাঠক-অস্তরে প্রবেশ ঘটানো শরৎচন্দ্রের শিল্পোচিত গুণ। আসলে মানুষের অন্তরের গোপন কথাটি তিনি ধরতে পেরেছিলেন। তার উপর ছিল লেখকের SSD মহাহইভূতির প্রলেপ। তাই চোখের জলের সাহিত্য হলেও এখনও ভারতের নানা প্রাদ্রেশিক ভাষায় শরৎ-গ্রন্থ “বেস্ট সেলার' । aH এমন ধনী লেখক সত্যই বাংলা দেশে কম জন্মেছেন। এবং তার এই হ্যায়েশ্বর্ষই তার দোষ এবং গুণের কারণ। পাঁকাল মাছের মত কী এক দুল্ঞেয় ক্ষমতায় নিজের দেহ থেকে পরিব্রাজক জীবনের সকল প্রকারের বিরূপ অভিজ্ঞতার মলিন পাক মুছে ফেলে পুনরায় সংসারাঙ্গণে ফিরে এসেছেন সকলের প্রতি প্রাণ- ঢাল] ভালবাসার আবেগ নিয়ে। নিজেও কাদলেন, পাঠকসাধারণকেও কাদালেন; শুধু যে নিজেই মানুষকে প্রাণতরে ভালবাসলেন তা-ই নয়, অপরকেও ভালবাসিয়ে তবে ছাড়লেন। তাই তার কাহিনী একাস্তভাবে বাঙালী-জীবন কেন্দ্রিক হলেও তার মধ্যে বহুস্থলেই ভূগোল-ইতিহাসের সীমা মুছে গিয়ে চিরকালের মান্যের শোভাযাত্রাই ফুটে উঠেছে।” এর আর একটি প্রধান কারণ ছিল নারীজাতির প্রতি তার অফুরস্ত করুণ। ও সহাহভুতি। সারাজীবনে তিনি নান তথ্য-উপাদান ঘেটে এইটুকু বুঝেছিলেন যে, সর্বকালেই দুর্বল নারী সবল পুরুষের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে। তার অধিকাংশ গল্প-উপন্যাস বাঙালী নারীর মৌন বেদনা-সহাঈভুঁতির রসে আর্দ্র হয়ে পাঠকের মহানহভুতি প্রবল ভাবে আকর্ষণ করে। সমাজ, পরিবার--যার প্রধান নেত] পুরুষ, তার দ্বারা লাঞ্ছিত হয়ে বাঙালী নারী যে ছদুখ-য্ত্রণ ভোগ করে, সারা ভারতের নারীনমাজের চিত্রও প্রায় তারই মত। তাই অন্য প্রদেশের rary পাঠকও শরৎ-মাহিত্যের বাঙালী সমাজের ঘটনাকাহিনী অত্যন্ত আবেগের সঙ্গে পড়ে থাকেন। এই বিংশ শতকেও তিনিই ভারতের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় লেখক | তার অনুবাদিত গ্রন্থের তালিকা দেখলে বোঝা যায় এক্মাত্র ary ৩ বাল্মীকি ছাড়া শরৎচন্দ্রকে অন্য কেউ অতিক্রম করতে সক্ষম হননি। শরৎচন্দ্রের সঙ্গে দুজন্‌ পূর্বগামী বন্ধিমচন্ত্র ও রবীন্দ্রনাথের তুলনামূলক আলোচনা যেমন আকর্ষণীয় তেমনি সার্থকতাপূর্ণ। বঙ্কিমচন্দ্র যে আধুনিক ater উপন্যাসের Bel তা সর্ববাদ্দিসম্মত ভাবে স্বীকৃত । তার শ্রেষ্ঠত্ব অনস্বীকার্ষ। তিনি পথিকৃৎ | বন্ধিমচজ্ নিজেকে উদ্দেশ্যপ্রধান লেখক হিসাবে বিবেচনা করতেন। সেদিনের প্রচলিত নৈতিকতাই ছিল তার লক্ষ্য এবং তার প্রচারের দায়িত্ব যেন ১৫



Leave a Comment