বাঙ্গলার ইতিহাস | Banglar Itihas

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
[৭] বিবর্তমের কথ নয়। কিন্তু আমাদের দেশের যে-মমস্ত ইতিহাস রচিত হচ্ছে তাতে রাষ্ট্রের কথাই প্রাধান্য পায়, সমাজের sai গৌণ বলে স্বীকৃত Bil রাষ্ট্রের ইতিহাস awe উপেক্ষনীয় নয়, কিন্তু সমাজের বিবর্তন কাহিনীকে প্রাধান্য দিলেই আমাদের দেশের ইতিহাস wal সার্থক হয়ে উঠবে, অর্থাৎ এ ইতিহাসের মধ্যেই আমর] আমাদের চিরস্তন স্বদেশকে স্বরূপে উপলব্ধি করতে পারব । আলোচ্য গ্রন্থখানির সিদ্ধান্ত সমূহ অভিজ্ঞ এঁতিহাসিকগণের কাছে স্বীকাধ্য হক বা না হক, ধৈর্য্য সহকারে বইখথানি পড়লে একথা উপলব্ধি হবে যে, আমাদের জাতীয় মনের কম্পাসের কাটাকে রাষ্ট্রকথার দিকে ঘুরিয়ে দিলেও cH আপন স্বভাবের প্রেরণায় সমাজ- কথার দ্বিকেই প্রত্যাবুত্ত হয়ে স্থির হয়ে দাড়ায় এবং অবিচলিত ভাবে আমাদের জাতীয় ইতিহাস লক্ষ্যের দিক্‌ নির্দেশ করে। বস্তুতঃ বইখানি পড়তে বসে আমার এঁতিহামনিক বোধ পদে পদেই পীড়িত হয়েছে এবং গ্রন্কারের অসহিষ্ণু ক্ষুব্ধ ভাষায় অনেক স্থলেই BS হয়েছে। তবু ধৈর্য্য সহকারে লেখকের ভাষা ও সিদ্ধান্তের অস্তরালে তার অন্তরের চিরাগত অনতূতির সত্যতাকে আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করবার প্রয়।সে কিছুদূর অগ্রসর হতে মা হতেই আমার মনে কৌতুহল জেগে উঠলে! এবং সেই কৌতূহলের প্রেরণায় বইথানি শেষ করতে আর ক্লেশবোধ হল না, CHAT সহজেই বুঝতে পারলাম যে আমাদের জাতীয় চিত্তের স্বাভাবিক প্রবণতার প্রতি লক্ষ্য রেখেই আমাদের দেশের ইতিহাদ রচন৷ করতে হবে এবং সে প্রবণতা] সমাজের দিকে, রাষ্ট্রের দিকে নয়। এখানেই এই গ্রন্থখানির আসল সার্থকতা | পরিশেষে একথা বলা প্রয়োজন যে লেখক যদি মাঝে মাঝে Heats বিশেষের প্রতি কটাক্ষ করে কঠোর ভাষা প্রয়োগ না করতেন তাহলে তার এই গ্রন্থ রচনার উক্ত সার্থকতা অধিকতর পরিমাণে উপলব্ধ হত; আর, সম্বদয় পাঠক যদি উক্ত ক্রটিগুলিকে গ্রাহ না করে, গ্রন্থথানি যত্ন সহকারে পাঠ করেন তাহলে বাংলার ইতিহাস রচনার আদর্শ fe হওয়া উচিত তা সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন, এই আমার বিশ্বাস | বিশ্বভারতী শাস্তিনিকেতন 1? প্রবোধচজ্ঞ্র CHF oe আশ্বিন, ১৩৬৬



Leave a Comment