জাতীয় আন্দোলনে সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় [সংস্করণ-১] | Jatiya Andolane Satis Chandra Mukhopadhyay [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রথম অধ্যায় সতীশচন্দ্রের বাল্য ও যৌবন || ১।। আচার্য সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় (১৮৬৫-১৯৪৮)নয়া বাংলার এক বিরাটতম পুরুষ। বিশ শতকের নবীন Gara যে সকল দিক্পাল মনীষী জাতির কানে শুনিয়েছিলেন আত্মশক্তির অমোঘ মন্ত্র, যাঁদের নিঃস্বার্থ স্বদেশসেবার অগ্নিবাণীতে ১৯০৫ সনের বাংলা তথা ভারত জেগে উঠেছিল, “ডন -এর সতীশচন্দ্র ছিলেন তাদেরই অন্যতম। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র পাল বা অরবিন্দ ঘোষের মতন তিনি অবশ্য প্রকাশ্য রাষ্ট্রিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেননি কিন্তু স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে তার চিন্তা ও কর্মের সাক্ষাৎ ও নিবিড় সংযোগ ছিল। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভিতরে যে তীব্র স্বাদেশিকতার আবেগ ও আলোড়ন দেখা দেয়, তার অন্যতম lS প্রতিভ্‌ ছিলেন তিনি। বস্তুত, ১৯০৫ সনে স্বদেশী আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনার বহু পূর্বেই তিনি “ডন সোসাইটি'-র জুলাই, ১৯০২ সনে প্রতিষ্ঠিত) মাধ্যমে এ আন্দোলনের আংশিক গোড়াপত্তন করেছিলেন। ১৯০৬ সনে জাতীয় কর্তৃত্বে 'জাতীয় শিক্ষা” প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে বাংলায় যে 'জাতীয় শিক্ষা পরিষদ্‌' প্রতিষ্ঠিত হয়, তার কেন্দ্রস্থলে তিনি ছিলেন দণ্ডায়মান ভারতীয় ইতিহাস, অর্থনীতি, শিল্পকলা, দর্শন ও সমাজতন্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও বিজ্ঞানসম্মত গবেষণার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ। যৌবনের প্রারম্ভে 'কর্মণ্যেবাধিকারস্তে'-র মন্ত্রে দীক্ষিত হ'য়ে তিনি দেশপূজার TICS জীবন সমর্পণ করেন। নামযশের প্রলোভন বিষবৎ বর্জন ক'রে তিনি নিজেকে নিঃশেষে বিলিয়ে দিয়েছিলেন মাতৃভূমির সেবায় ও সাধনায় স্বার্থত্যাগের এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ইতিহাসে যারপরনাই বিরল। দুভর্প্যিক্রমে এই নমস্য পুরুষটি একালের জনস্মৃতিতে বিস্মৃতপ্রায়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ও স্বাধীনতা-যুদ্ধের আর দুইজন প্রধান অধিনায়ককেও আমরা একালে প্রায় ভুলতে বসেছি। তারা হলেন বিপিন চন্দ্র পাল ও উপাধ্যায় ব্রম্মবান্ধব। WRT উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আচার্য সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় হুগলী জেলার অস্তর্গত বন্দীপুর গ্রামে ১৮৬৫ সনের ৫ই জুন জন্মগ্রহণ BCAA | বন্দীপুর গ্রাম _ (১)সতীশচন্দ্রের ভাগিনেয় “রায় বাহাদুর মতিলাল গাঙ্গুলীব অপ্রকাশিত “স্মৃতি-কথা' য় উক্ত তাবিখেব উল্লেখ দেখা A | মতিলালবাবু এক সময় ভারত সরকারের কাবেন্সি বিভাগে উচ্চপদস্থ অফিসাব ছিলেন।



Leave a Comment