ঘরোয়া [সংস্করণ-১] | Gharoya [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
এ বিষয়ে কেউ তার কাছে কিছু বলতে গেলে তাড়া খেয়ে ফিরে আমেন। সেবারে যখন কলকাতায় আসি ওরুদ্বেৰ আমাকে বলেছিলেন, “তুই নাহয় আমার নাম করেই অবনকে বলিস ।” কিন্তু আমারও কেমন ভয়-ভয় করল | কারণ, একদিন দেখলুম, নন্দদা এ বিষয়ে অবনীন্দ্রনাথকে বলতে এসে একবার বলবার জন্য এগিয়ে যান, আবার সরে আসেন, এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও কিছু বলতে পারলেন না-- অবনীন্দ্রনাথ একমনে ASAT গড়ে চললেন, তাঁর ও দিকে খেয়ালই নেই । তাই এবারে যখন গুরুদ্বেব কলকাতায় এসে জিজ্ঞেস করলেন, 'অবনের জন্মোৎসবের কতদূর কী এগোল স্থযোগ বুঝে নালিশ SIRT গুরুদেব অবনীন্দ্রনাথকে খুব ধমকে দিলেন, মা যেমন OB, ছেলেকে দেয়। বললেন, 'অবন, তোমার এতে আপত্তির মানে কী। দেশের লোক যদি চায় কিছু করতে তোমার তো তাতে হাঁত নেই ।” অবনীন্দ্রনাথ আর কী করেন, ছোটো ছেলে বকুনি খেলে তার যেমন মুখখানি হয়, অবনীন্দ্রনাথের তেমনি মুখের Slat হয়ে গেল। ব্ললেন, SS] আদেশ যখন করেছ, মালাচন্দন পরব, ফোটানাট] কাটব, তবে কোথাও যেতে পারব না কিন্তু এই বলেই তিনি গুরুদেবকে প্রণাম করে পড়ি কি মরি সেই ঘর থেকে পালালেন। গুরুদেব হেসে উঠলেন; বললেন, “পাগলা বেগতিক দেখে পালালো ।” আশি বছরের খুড়ো সত্তর বছরের ভাইপোকে যে পাগলা” বলে CVA উঠলেন, এ জিনিস বর্ণনা করে বোঝাবে কে । এই গল্পগুলো গুরুদেবের কাছে এত মান পাবে তা অবলীক্দ্রনাথও ভাবেন নি কখনো । ওগুরুদেবের ইচ্ছান্যয়ারী বই ছাপা শেষ হয়ে এল, কিন্তু কয়ট দিনের জন্য তার হাতে তুলে দিতে পারলুম না। আজ এ বই হাতে নিয়ে তাকে বার বার প্রণাম করছি, আর প্রণাম করছি অবনীন্দ্রনাথকে, যিনি গল্পচ্ছলে আমার ভিতর এই রসের ধারা বইয়ে দিলেন | sta শ্ররানী চন্দ ১৩৪৮ ১৩



Leave a Comment