সেই আশ্চর্য রাত | Sei Ashcharjya Raat

'আমি'র থেকে নিজেকে “আমি” আলাদা করে ফেলেছি অনেক আগেই 1 সবচেয়ে বড় কথা-_ যে-আমি”*র অভিজ্ঞতার বিবরণ আমি দিতে চাইছি-_সে-আমি” আর এ-আমি' সম্পূর্ণ আলাদা | বাইরে থেকে তাকে আমি দেখি, দেখি নিরাসক্ত দৃষ্টিতে, অনাজ্মীয় চোখে ৷ অতিপরিচিত বন্ধু বা Gear সাথীর মত সেই-'“আমি*র অবিকল বর্ণনা আমি দিয়ে যেতে পারি। পারি, তার মনের-প্রাণের অনেক গোপন খবর আমি জানি বলে--কিন্ত, তবু, এই- “আমি” আর সেই-আমি” তো! আসলে এক নই-_দছুজনে আলাদ। ছুটি মানুষ। অনর্গল তার কথা আমি বলে যেতে পারি, মুক্ত-মনে তার নিন্দা কি প্রশংসা করে যেতে পারি--মুহূতে'র জন্যেও মনে হবে না যার কথা বলছি, যার নিন্দা বা প্রশংসা! করছি-_সে আমারই আরেক রূপ, সে-আমি অতীতের আমি! চালচলন আচারআচরণের দিক দিয়ে সেদিনের সেই-'আমি”র সঙ্গে তার শ্রেণীর অন্যান্যদের বড়-একটা তফাং ছিল al! কোন- রকম দাস্তিকতার বৃশবতী হয়ে নয়, অতি সহজ ভাবেই নিজেদের তারা 'অভিজাত aA মানুষ বলে ভাবত। বয়েস তখন আমার পয়ত্রিশ। আমি সাবালক হয়ে ওঠার কিছু আগেই আমার মা- বাবা মারা যান । বেশ-কিছু তারা আমার sew রেখে গিয়েছিলেন। তাই কোন্‌ পথে জীবিকা] নির্বাহ করব, কি করে নিজের পায়ে টাড়াব-এপ্রশ্ন আদৌ ওঠেনি 1 বরং তারা বেঁচে থাকতে ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার মনে ভয়ানক একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ভবিষ্যতে কি করব কিছুতেই ঠিক করে উঠতে পারছিলাম না। তাদের মৃত্যুতে তার সমাধান হয়ে গেল | ৬