ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের ভৌতিক মজার মজার গল্প | Trailokyanath Mukhopadhayaer Bhautik Majar Majar Galpa

we মজার মজার গল্প সেই জলেই ব্রাহ্মণের মন ভিজিয়া! একেবারে গলিয়| গেল । ব্রাহ্মণ বলিলেন,-__“শুন ফকিরজী ! তোমাকে মনের কথা বলি,-_প্রকাশ করিয়ে! না। তাহা হইলে রোজা বলিয়৷ আমার যা কিছু মান-সন্ভম- প্রতিপত্তি হইয়াছে, সকলই যাইবে । তোমাকে সত্য করিয়া বলিতেছি, আমি প্রকৃত রোজা নই, ভূত ছাড়াইবার একটি age জানি a) এমন কি, গায়ত্রী পর্যন্ত জানি না, আর লেখাপড়া বিষয়ে, ক খ পর্যন্ত শিখি নাই। তবে এইমাত্র বলিতে পারি যে, আমি একজন পরম নিষ্ঠাবান্‌ arti চৌকায় বসিয়া খাই। আজকালের « ইংরেজী-পড়। বাবু ভায়াদিগের মতো নই »» আমীর বলিলেন,-_“সে কি মহাশয় ! তবে আপনি মহাজনকল্যার ভূত ছাড়াইলেন কী করিয়া?” ব্রাহ্মণ উত্তর করিলেন,--“সে-কথা : -' .* আদ্যোপান্ত সমস্ত বলিতেছি। প্রকাশ করিয়ে না, তাহা হইলে আমার বড়ই মন্দ হইবে '” আমীর বলিলেন, “আল্লার কসম, আমার মুখ fra এ কথা কখনই বাহির হইবে না।” ব্রাহ্মণ বলিলেন,_“এই গ্রামে একটি Sife বাস করে। তাঁতি তাত বুনিয়া খায়, কোনো ল্যাঠাই ছিল না। একদিন কি মতি হইল, সে তাঁত বুনিতে বুনিতে একটু গুন্‌ গুন্‌ স্বরে গান করিল। নিজের কানে TAC স্বরটি বড়ই yaya বলিয়া লাগিল | পুনর্বার আস্তে আস্তে গাহিয়৷ দেখিল, বড়ই মিষ্ট বটে! তাতি মনে মনে ভাবিল,__“আমি একজন প্রকৃত NAIA এ গুণটি এতদিন প্রচ্ছন্ন অবস্থায় বৃথা নষ্ট হইতেছিল | জগতের দশাই এই, তা a হইলে হীরা মণি মুক্ত! উপরে চক্মক্‌ না ক্রিয়া, মাটি কি জলের ভিতর কেন বৃথা পড়িয়া! থাকিবে ? যাহা হউক, এখন হইতে গান গাহিয়। আমি জগৎ মুগ্ধ করিব, মধুর তানে অবিরত জগতের কর্ণকুহরে gel ঢালিয়া দিব। আপাতত প্রতিবাসীদিগকে গুণের কিঞ্চিৎ পরিচয় দিই ।” এই বলিয়া তাঁতি ক্রমে গলা ছাড়িয়া গান আরম্ভ করিল । একদিন যায়, দুই দিন যায়, গ্রামবাসীরা শশব্যস্ত। ছুই চারি দিন পরে গ্রামের লোক অস্থির হইয়| পড়িল। প্রাণ লইয়া ' সকলের টানাটানি। wat আবালবৃদ্ধবনিত! সকলে গিয়া ভাতির ' দ্বারে উপস্থিত । তাঁতিকে ডাকিয়া বলিল,-__'বাপু হে! পুরুষপুরুষান্তু-.