সঙ্গীতকলাবিদ শৈরীন্দ্রমোহন ঠাকুর [সংস্করণ-২] | Sangitkalabid Shourindramohan Thakur [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৪ সঙ্গীতকলাবিদ্‌ শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর তশধারার প্রতিভা A হয়ে গেছে। তা ছাড়া জোড়াসাঁকোর বংশধারায় যে বৈপ্লবিক চেতনার বিকাশ দেখা গেছে পাথুরিয়াঘাটার বংশধারায় তা ছিল না। এমন কি সে-মনোভাবের সমর্থনও বিশেষ প্রকাশ পায় নি। কারণ পাশ্চাত্য শিক্ষা-সংস্কৃতির মূল্যকে উপলব্ধি করলেও এবং তার সঙ্গে NSN যোগাযোগ থাকলেও এই ধারা ছিল কিছুটা রক্ষণশীল। হিন্দুধর্মের আচার-অনুষ্ঠানগত বিধি-নিষেধের প্রতি এই ধারার মানুগত্য ছিল UY | তবু এই ধারার মধ্যে যে কজন বিশিষ্ট প্রতিভাবান মনীষীর আবিভাব ঘটেছে তাঁদের কথা মনে রাখা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। কারণ বাংলার তথা ভারতের সাংস্কৃতিক বিকাশের ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানও যথেষ্ট। শৌরীন্দ্রমোহন তাঁদেরই একজন | কিন্তু শৌরীন্দ্রমোহনের ব্যক্তিগত পরিচয়- প্রসঙ্গে আসার আগে তাঁর পূর্বপুরুষদের কয়েকজন ও তাঁর অগ্রজ যতীন্দ্রমোহনের সম্বন্ধে সংক্ষেপে কিছু বলা দরকার। দর্পনারায়ণ ঠাকুরের দুই পত্রী - প্রথমা তারিনী বা তারা সুন্দরী এবং দ্বিতীয়া বদনমণি। দুজনেই যশোরের মেয়ে। যশোরের বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে ঠাকুর পরিবারের বৈবাহিক যোগসূত্র পুরুষানুক্রমিক | এবং এই যোগসূত্র উভয় ধারাতেই সমান প্রবল ছিল। যশোরের চাঙ্গুটিয়া দক্ষিণডিহি প্রভৃতি অঞ্চলের কন্যারা ঠাকুর-পরিবারে বধূ হযে আসতেন। এটা তাঁদের পারিবারিক প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যা হোক, দর্পনারায়ণের দুই পত্নীর গর্ভে সাত পুত্র ও দুই কন্যা জন্মেছিলেন। প্রথমার গর্ভে রাধামোহন, গোপীমোহন, কৃষ্ণমোহন, হরিমোহন ও পিয়ারীমোহন; এবং দ্বিতীয়ার গর্ভে লাডূলিমোহন, মোহিনীমোহন, রাইমণি ও নিমাইমণি। এঁদের মধ্যে স্বনামধন্য হলেন গোপীমোহন। ১৭৬০ - ১৮১৯) - শৌরীন্দ্রমোহনের পিতামহ। তিনি ছিলেন সেকালের একজন সুশিক্ষিত রুচিবান মানুষ যাঁর বিদ্যাবুদ্ধির পরিচয় এবং স্বজাতির উন্নতিমূলক বিভিন্ন কর্মপ্রচেষ্টায় এই ধারার Tate অনেক বর্ষিত হয়েছে। সেকালের শ্রেষ্ঠ ধনীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। কিন্তু গোপীমোহন যদি শুধুই ধনকুবের হতেন তাহলে তাঁর কথা আমরা বিনা দ্বিধায় বিস্মৃতির ace ফেলে দিতে পারতৃম। কিন্তু তাঁকে আমরা দেখেছি



Leave a Comment