অক্টোবর-বিপ্লব ও আধুনিক বাংলা সাহিত্য | October-biplab O Adhunik Bangla Sahitya

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অক্টোবর মহাবিপ্নবের সংক্ষিপ্ত পরিচয় > ধর্মঘট | সত্তর ও আশীর দশকের প্রথম দিকে ধর্মঘটা অমিকদের জরিমানা, মজুরী ছঁটাই, fea মঞ্জুরী কমিয়ে দিয়ে দমন করার চেষ্টা SH হলো | উত্তেজিত এমিকেরা তীব্র হতাশায় কলে কারখানায় ভাঙচুর es করলো। কিন্তু রুশিয়ার অগ্রসর শ্রমিকর] এই প্রথম উপলক্ধি করতে পারলে! যে ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে Fa বিজয়ী হতে হলে চাই “অমিক-সংগঠন” | তার ফলেই রুশিয়াতে নানা অমিক- সংগঠন গড়ে উঠতে SF করলো | ১৮৭৫ ATA “ওডেসা”তে প্রথম শ্রমিক- সংগঠন তৈরি হলো | তারপর নানা শ্রমিক-সংগঠন জেলা থেকে জেলায় তৈরি হয়ে গেলো। “শ্রেণী-সংগ্রাম* আরম্ভ হলো ব্যাপক ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে । ১৮৮১ থেকে ১৮৮৬ সালের মধ্যে Shy Wes ৪৮টি ধর্মঘট হয়েছিলো মাতে প্রায় আশীহাজার শ্রমিক জড়িত ছিলে) । ধর্মঘট যত ব্যাপক হতে লাগলো শাসক শক্তির দমন-পীড়নও তত বাড়লো । ধর্মঘটী শমিকদের দমন করতে এইবার সৈন্প- বাহিনীকেও কাজে লাগাতে হলো | তাঁতেও যখন শমিক শেণীকে দমানো coment না তখন জার-সরকাঁর শ্রমিকদের উপর অন্যায়ভাবে ধার্য 'জরিমানা'র উপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করলেন। তার ফলে অরমিকদের প্রদেয় জরিমানা উৎপা- দকের পকেটে না গিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নিয়েজিত হলো | ইতিহাসের এই সন্ধিকালে রুশিয়াতে এই প্রথম মার্কসবাদী শ্রমিক-সংগঠন গড়ে তুলবার প্রয়োজন অন্ভূত হলো | প্রাণমিক পর্যায়েজেনিভা-প্রবাসী জি. ভি. প্লেখানভ ১৮৮৩ সালে রুশিয়াতে otery “মার্কসবাদী গোষ্ঠী' গড়ে তুললেন ৷ এই 'গোষ্ঠী' রুশিয়াতে মার্কসবাদ প্রসারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো। এই “মার্কসবাদী গোষ্ঠী'ই রুশিয়াতে প্রণম মার্কস ও একঙক্গেলসের রচনাকে রুশ ভাষায় অনুবাদ করেছিলো । সেই অনুবাদের তালিকায় fara “কমিউনিস্ট মাযানিফেস্টো, “ওয়েছ আযাও লেবার”, “ক্যাপিটাল সো্যোগালিজম”, 'ইউটোপিয়ান আও সাইন্টিফিক” প্রভৃতি ছোট বড় গ্রন্থ। বলা বাছল্য এই রচনাগুলি মুদ্রিত হয়েছিলে| বিদেশে এবং অত্যন্ত গোপনে এইগুলি সম্প্রচারিত হয়েছিলো রুশিয়ায়। মার্কস এবং এঙ্গেলসের এই সমস্ত পুস্তিকার মাধ্যমে রুশিয়ার জনগণ জানলেন মে, ‘cotnfaay বস্তুটি স্বপ্নবিলাসী (ইউটোপিয়ান ) arrears wae? বিষয় নয় 198 “স্তযোসালিজম” হচ্ছে ধনতান্ত্রিক সমাজ-বাবস্থার অবধারিত ফলশ্রুতি । তারা এই অসম্ভব সম্ভাবনার কথা প্রথম শুনলেন যে, ধনতান্ত্রিক সমাজ-ব্যবস্থার মধ্যেই ধনতন্ত্রের মৃত্যুবান নিহিত আছে এবং প্রতিটি সর্বহারা ব্যক্তির হৃদয়ই হচ্ছে WAST কবরস্থ'ন | তাঁরাই মাভৈ: মন্ত্র উচ্চারণ করে বললেন যে, একমাত্র সর্বহারার শ্রেণী-সংগ্রাম ও বুর্জোয়া শ্রেণীর সঙ্গে অবিরাম লড়াইয়ে সর্বহারার বিজয়ী হওয়াটাই হচ্ছে ধনতন্ত্র ও ধনতাস্ত্রিক শোষণের হাত থেকে মানবতার মুক্তি পাবার একমাত্র উপায় | মার্কস এঙ্গেলস একথাও শেখালেন যে, ay সর্বহারাদের নিজের শক্তি



Leave a Comment