যুগান্তের যবনিকা পারে | Juganter Jabanika Pare

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
ey নির্দিষ্ট থাকে, সেইখানে নামিয়ে রেখে গরুড় অবতারের মত দরজায় দাড়িয়ে থাকে। সোমনাথ এ ঘরের খাটের উপর বসে ওর দিকে চেয়ে বলেন, ‘etter wav! তো যথারীতিই করেছিলাম, তবু লোভ হচ্ছিল আর একবার মা গঙ্গার কোলে ঝাপিয়ে পড়ি, কিন্তু থাক, দ্বিপ্রহর উত্তীণ হয়ে গেছে, বিলম্ব হয়ে যাবে। নেমে পড়লে তো আর সহজে উঠতে ইচ্ছে করবে না। তুই আমার ধুতি মেরজাই বার করে রেখে স্নান করে নিগে যা। আমি শুধু হাত মুখ প্রক্ষালন করে প্রস্তুত হয়ে নিই ৷” হাত মুখ প্রক্ষালনও অবশ্য গঙ্গাতেই | এটি সোমনাথের বরাবরের অভ্যাস। বাড়ির মধ্যে তোল জলে কিছু করায় ওঁর তৃপ্তি হয় alt এই সমর একজন চাকরকে ডেকে বলেন, “ভিতরে থলে আয়, মাঝির বোধহয় Ate ছয় জন হবে এইটুকুই নির্দেশ, ওতেই বোঝানো হলে! ওরা খাবে। এর থেকে বেশী বলাটা গ্রাম্যতা। কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল দোতলায় প্রকাণ্ড চওড়া দালানে উঠে এসেছেন সোমনাথ, আর ছোট বড় মাঝারি ঘোমটা না থধোমটা, কুচোকাচ। ইত্যাদির একটি বিরাট বাহিনীর পদধূলি গ্রহণের ঠ্যালা সামলাচ্ছেন। কদিন মাত্র পরে এসেছেন, আঙ্ল গুনলে ন' দিন। তবু যেতে / আসতে প্রণামের ঠ্যালা! সোমনাথকে সামলাতেই হচ্ছে৷ মৃদু গল্ভীর কণ্ঠে “থাক থাক” বলে যতই পিছিয়ে যান, কেউ এ অধিকার ছাড়তে রাজী নয়। সোমনাথ যে এদের সবাইকে ঠিক মত চিনতেই পারছেন তা! বলা যাবে না, বিশেষ করে ঘোমটা দেওয়াদের। তারা অবশ্য পা ছুয়ে পদধূলি নিচ্ছে না, মাটিতে মাথা ঠেকিয়েই ASW থাকতে হচ্ছে তাঁদের, কারণ সোমনাথ তাঁদের কারো মামাশ্বশুর, কারে। দূর সম্পর্কের তাস্মুর অথবা খুড়শ্বপতর। ১২



Leave a Comment