মহাত্মা শিশিরকুমার ঘোষ | Mahatma Shishirkumar Ghosh

নিবেদন _ ছাত্রাবস্থাতেই অযৃতবাজার পত্রিকা পাঠ করিয়। ইহার প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা শিশিরকুমার ঘোষের প্রতি শ্রদ্ধাবান হইয়াছিলাম। তাহার পর তাঁহার শ্রীঅমিয়- নিমাই চরিত, লর্ড গৌরাঙ্গ ও শ্রীকালাটাদ- গীতা পাঠ করিয়া তাহার প্রতি আমার ভক্তি ও শ্রদ্ধা শতগুণ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। কিন্তু তাহার সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিয়, তাহাকে ভাল করিয়া বুঝিবার স্থযোগ আমার ভাগ্যে কখনও হয় নাই। তাহার স্বর্গারোহনের পর সংবাদপত্রে তাহার জীবনের কার্যাবলীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও দ্বারবঙ্গেশ্বর মিঃ গোখ্‌লে, মিঃ crate, শ্রীযুক্ত বাবু স্থরেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি প্রথিত নামা ব্যক্তিগণের বক্তৃতাপাঠ করিয়া বুঝিয়াছিলাম যে, শিশির- কুমার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সৈনিক ও ধর্মনীতি ক্ষেত্রে প্রেমিক সন্্যাসীর ন্যায় কার্য্য করিয়| জগতে অক্ষয়কীতি রাখিয়] গিয়াছেন। এই অসাধারণ প্রতিভাশালী মহাত্মার জীবনচরিত প্রকাশিত হইলে তাহা পাঠ shan ধন্য হইব আশা করিয়া- ছিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয় কেহই শিশিরকুমারের চরিত রচনার ভার গ্রহণ করিলেন না। ১৯১৬ খ্রীঃ অঃ মার্চ মাসের প্রথম ভাগে কলিকাতার একখানি বাঙ্গালা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র শিশিরকুমারের পঞ্চম বাষিক্‌ aie সভার সংবাদ জ্ঞাপন করিয়। লিখিয়াছিলেন “দুঃখের বিষয় এরূপ লোকের জীবনী নাই 1” Woh পাঠ করিয়া প্রাণে বড়ই কষ্ট পাইয়াছিলাম এবং নংগে সংগে শিশির- কুমারের জীবনী লিখিবার প্রবল stator হৃদয়ে জাগিয়। উঠিয়াছিল। শেষে নিজের অযোগ্যতা স্মরণ করিয়।, সাধারণের নিকট Great হইবার আশঙ্কায় প্রাণের ইচ্ছা প্রাণেই চাপিয়া রাখিতে বাধ্য হইয়াছিলাম। fee বিদ্যুৎ প্রভার ন্যায় মধ্যে মধ্যে, শিশিরকুমারের চরিত রচনার ইচ্ছা আমার হৃদয় মধ্যে জাগিয়া উঠিতে লাগিল। তখন আমি আমার পরম পূজ্যপাদ পিতৃব্যদ্বেব, মাইকেল মধুস্থযন দত্তের জীবন চরিত, পৃথীরাজ ও শিবাজী মহাকাব্য প্রণেতা কবিভূষণ খ্রযুক্ত যোগীন্দ্রনাথ বহু মহাশয়কে feet করিলাম,--“শিশির বাবুর জীবনী লিখিলে কেমন হয়,” তিনি বলিলেন,-_'"থুব ভালই হয়, কারণ শিশির বাবুর জীবনে অনেক শিক্ষার জিনিষ রহিয়াছে।” এই কথা! শুনিয়া আমি পুনরায় জিজ্ঞাস! করিলাম,--“আমি coe] করিলে কি লিখিতে পারিব ?”” তাহাতে তিনি বলিয়াছিলেন,-_“কেন পারিবে না, চেষ্টা করিলে অবশ্যই পারিবে? তুমি