আয় ঘুম | Aai Ghum

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কিন্তু আমার সব কথা তো শোনা হয় না। যেমন স্যার কাল রাতে একটা জিনিস ঠিক হয়নি। কী আবার ঠিক হয়নি? কাল রাতে স্যার আপনার বাবা ম্যাডামের ছবির সামনে জ্বলন্ত মোমবাতি দেখেছিলেন। মানে বুঝতে পারছেন তো স্যার, আগুনের রিফ্লেকশনটা ম্যাডামের ছবির কাচের ওপর... মানে স্যার ওর মতো আ্যালবঝাইমাস পেশেন্টদের ক্ষেত্রে এটা একটা শকিং... নার্সকে দাও। OH স্যার? বনানীকে দাও। চিৎকার করে উঠলেন শ্রীতম সান্যাল। বনানী ডাক্তারের পাশেই ছিল। ডাক্তার তাড়াতাড়ি ওর দিকে ফোনটা এগিয়ে দিল। ডাক্তারের মুখ দেখেই বন'ণী বুঝেছিল ওদিকে ঝড় বইছে। ফোনটা ধরে কাঁপা গলায় বলল, হ্যালো স্যার! কাল মাম্মির ছবির সামনে ক্যান্ডেল জ্বালানো হয়েছিল? শুনেছি স্যার। আসলে আমি তো ন্টায় ডিউটি ধরেছি। তার আগেই... আমাকে বলোনি কেন? মানে স্যার... আমি ভেবেছিলাম পার্বতী আপনাকে বলেছে। কাল তো ম্যাডামের মৃত্যুদিন ছিল। আপনার পারমিশন ছিল। কী আশ্চর্য! আমার পারমিশন কী ছিল? বাবাকে নিয়ে গিয়ে aia ছবির সামনে ক্যান্ডেল জ্বলছে সেটা দেখানো? এতগুলো লোক তোমরা কাজ করছ বাড়িতে, সবার কি একসঙ্গে বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেয়ে গিয়েছিল? সরি স্যার। আমি তো আসলে ছিলাম না, কিন্তু শুনেছি স্যার, উনি হঠাৎ করে ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। তুমি এরকম আরও কত কথা শুনে আমার কাছে চেপে যাও বনানী? এত কথা নিজের মধ্যে চেপে রাখলে তোমার তো এবার শরীর খারাপ হয়ে যাবে। তার চেয়ে ভাল তুমি এবার কাজটা ছেড়ে দাও, ঘরসংসার করো, ওটাই তোমার দ্বারা হবে। যাক গে, ডাক্তারকে দাও। হ্যা স্যার। মন দিয়ে শোনো ডাক্তার। যা SCI গেছে, আমার ভয় হচ্ছে, আবার সেই আগের মতো না হয়। বাড়িতে মনে হচ্ছে ডিসিপ্লিনটা একেবারে গেছে। এনি ওয়ে আমি সকালের ফ্লাইটেই আসছি। তুমি ডক্টর শেখরকে খবর দাও। আমি না পৌছো(নো পর্যন্ত তোমরা ASCH বাড়িতে থেকো। প্রীতম সান্যাল ঘড়িতে সময়টা দেখলেন তিনটে সতেরো। গল্ফ কিটটার এঁকপাশের চেনটা এক টানে সশব্দে খুলে ভেতর থেকে বার করে আনলেন আর একটা (মাবাইল। মোবাইলটা অন করে ফোন করলেন উইংসফ্ট-এর ট্র্যাভেল ম্যানেজারকে।' বললেন, ১৬



Leave a Comment