রবীন্দ্র-রচনাবলী [খণ্ড-১২] | Rabindra Rachanabali [Vol. 12]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
প্রহাসিনী তা হলে হঠাৎ বুক উঠিবে যে sat বৈতরণীতে যবে যাব খেয়া চালিয়া। এ কী গেরো। কাজ কী এ কল্পনাবিহারে, সেন্টিমেন্টালিটি বলে লোকে ইহারে। মরে তবু বাচিবার আবদার খোকামি, সংসারে এর চেয়ে নেই ঘোর বোকামি। এটা তো আধুনিকার সহিবে না কিছুতেই; এস্টিমেশনে তার পড়ে যাব নিচুতেই। অতএব , মন, তোর কলসি ও দড়ি Sig, অতলে মারিস ডুব মিড়-ভিক্টোরিয়ান। কোনো ফল ফলিবে না আখিজল-সিচনে; শুকনো হাসিটা তবে রেখে যাই পিছনে। গদ্‌গদ্‌ সুর কেন বিদায়ের পাঠটায়, শেষ বেলা কেটে যাক GTA ঠাট্টায়। তোমাদের মুখে থাক্‌ হাস্যের রোশনাই-_ ' কিছু সীরিয়াস কথা বলি তবু, দোষ ATE কখনো দিয়েছে দেখা হেন.-প্রভাশালিনী শুধু এ কালিনী নয়, যারা চিরকালিনী। এ কথাটা ব'লে যাব মোর কন্ফেশানেই তাদের মিলনে কোনো ক্ষণিকের নেশা নেই। জীবনের সন্ধ্যায় তাহাদেরি বরণে শেষ রবিরেখা রবে সোনা-আকা স্মরণে। সুর-সুরধুনীধারে যে অমৃত উথলে মাঝে মাঝে কিছু তার ঝ'রে পড়ে GSA, এ জনমে সে কথা জানার সম্ভাবনা কেমনে ঘটিবে যদি সাক্ষাৎ পাব না। আমাদের কত ত্রুটি আসনে ও শয়নে, ক্ষমা ছিল চিরদিন তাহাদের নয়নে। প্রেমদীপ জ্বেলেছিল পুণ্যের আলোকে, NYA করেছে তারা যত কিছু ভালোকে। নানারূপে ভোগপসুধা যা করেছে বরষন তারে শুচি করেছিল সুকুমার পরশন। দামি যাহা মালয়াছে জীবনের এ পারে মরণের তীরে তারে নিয়ে যেতে কে পারে। তবু মনে আশা করি মৃত্যুর রাতেও তাহাদেরি প্রেম যেন নিতে পারি পাধথেয়। আর বেশি কাজ নেই, গেছে কেটে তিনকাল, যে কালে এসেছি আজ সে কালটা সিনিকাল! কিছু আছে যার anit সুগভীর নিশ্বাস জেগে ওঠে-- ঢাকা থাক্‌ তার প্রতি বিশ্বাস।



Leave a Comment