For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)আজ প্রশাস্ত SCM Mesa সুগভীর স্বচ্ছতায় জীবনের যে সমগ্ররূপ দেখতে পেলেন অজ
তার কাছে নিজেকে অত্যন্ত ছোট মনে হলো তার। তার মনে হলো, জীবনের এই অখণ্ড ও
মণ্ডলাকার রূপের কথা ভূলে গিয়ে তার শুধু একটা খণ্ড অংশকেই সত্য বলে আঁকড়ে ধরতে
গিয়েছিলেন তিনি। ইন্দুমতীর কথা একেবারে ভুলেই গিয়েছিলেন TS | কখন বসন্ত এসে দিকে দিকে ফেটে
পড়েছে কিংশুক ও কৃষ্ণচূড়ার উচ্ছ্বসিত হাসিতে, মঞ্জুলমঞ্জরী আম্র-মুকুলের গন্ধে আর
AHA SITS পল্লবনিচয়ে, সেদিকে এতদিন কোনো খেয়ালই করেননি। সত্যই কিন্তু আশ্চর্য হয়ে গেলেন মহারাজ | রাজপ্রাসাদের তোরণদ্বারে তাকে বরণ করে
নেবার জন্য নিজে দাঁড়িয়ে থাকবেন ইন্দুমতী একথা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি | ভাবতেই
পারেননি এতদিনের বিরহ বেদনার যত কিছু ABI এই স্বয়ংগ্রহাশ্লেষ সুখের PRA সমাগমে
বিলীন হয়ে যাবে নিঃশেষে। দেহে মনে কোথাও এতটুকু উচ্ছলতা নেই মহারাজ অজের প্রশান্তগস্ভীর মুখমণ্ডলে স্পষ্ট
হয়ে ফুটে উঠেছে সমাহিত সংযত চিত্তের ভাবাবস্থা। উত্তম বস্ত্রালংকারে ভূষিতা ইন্দুমতী বললেন, আমার ব্রতসাধনা এতদিনে সার্থক হয়েছে
মহারাজ। অজ বললেন, আজ আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরিছি। তুমি আমায় ক্ষমা কর ইন্দুমতী।
তোমাকে তখন বুঝতে পারিনি; তোমার প্রেম সত্যিই মহৎ। তোমার সেই মহৎ প্রেমের স্পর্শে
আমি আমার আত্মাকে উপলব্ধি করতে পেরেছি, আর সেই আত্মোপলক্ধির আলোকে দেখতে
পেয়েছি জীবনের প্রকৃত রূপ। সঙ্গে করে স্বামীকে তার অন্তপুরে নিয়ে গেলেন ইন্দুমতী। অজ বললেন, যে প্রেম বিরহের দ্বারা প্রতিহত হয় না এমনি করে, সংযমের দ্বারা শাসিত
হয় না, সে প্রকৃত প্রেম নয়। অপরাষহ্টের দিকে একটি বছর পর প্রাসাদ উদ্যানের সেই সরোবরের সোপানশ্রেণীতে গিয়ে
বসলেন দুজনে দীর্ঘদিন পর বিধিনিষেধের সমস্ত অর্গল আজ মুক্ত, সংযমের সমস্ত বীধ আজ
অপসারিত। আজকের এই দিনটি বড় মধুর বলে মনে হলো দুজনের কাছে। এক নিবিড়তম মিলনোচ্ছাসে কথায় কথায় হাসিতে ফেটে পড়তে লাগলেন দুজনে | ইন্দুমতীর কী একটি কথায় সোনার শতদল নিয়ে অজ তাঁকে মৃদু প্রহার করলেন ও তার
দেহকে বাহুপাশে আবদ্ধ করে এক নিষ্ঠুর চুম্বনের দ্বারা পিষ্ট করে দিলেন তার অধরোষ্ঠকে | ইন্দুমতী ছুটে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন সরোবরের জলে। অজও তাকে ধরবার জন্য জলে
ঝাপ দিলেন। তাঁদের উচ্ছল কলহাসিতে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠল ব্রৌঞ্চকলরবমুখরিত
পদ্মপরাগগন্ধী সরোবরের কজ্জলায়িত জলরাশি | জলকেলির পর উঠে দুজনেই কল্পতরুপ্রস্ুত
রক্তাভ সুরা পান করলেন। সুরাপানে দেহে মনে বিকার দেখা দিতে লাগল প্রথমে ইন্দুমতীর। ক্রমে অঙ্গ যখন অবশ
হয়ে উঠল, ঘূর্ণিত হতে লাগল তার নেত্র, বিজড়িত হয়ে এল বাক্যস্ফুরণ, অজ তখন
শিথিলতনু ইন্দুমতীকে ধরে মণিময় প্রস্তরনির্মিত রতিমন্দিরে প্রবেশ করলেন। শরতের শুভ্র
মেঘণশয্যায় চন্দ্র যেমন রোহিণীকে নিয়ে শয়ন করেন, তেমনি স্বর্ণপালঙ্কের উপর সুদৃশ্য
দুগ্ধফেননিভ শয্যায় ইন্দুমতীর পাশে শয়ন করলেন অজ। ১২৪