For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ইজ্জত লুটে নিল? ওর বুকের হৃৎপিগুটা এবার আমার ছোরার ঘায়ে ক্ষত বিক্ষত হবেই। কেউ
ওকে বাঁচাতে পারবে না।” “না, কার্মেলো, না! তুমি ওকে খুন করতে যেয়ো না। তা করলে হয়ত বাকি জীবনটা তোমায়
কয়েদখানায় বন্দি হয়েই কাটাতে হবে। আমায় এখানে পড়ে থাকতে হবে সম্পূর্ণ একা। এমন
আরও অনেক ব্যভিচার তখন ঘটে যাবে আমার ওপর! এই জন্যই আমি তোমায় সব কথা বলতে
চাইনি। যা ঘটে গেছে তার দুঃখ আমি সহ্য করে AA” “আমি যদি কিছুই না করি তবে তো ওই শয়তান লিওনসিওটা ভাববে আমি কাপুরুষ, আমি
ওকে ভয় পাই | সুযোগ পেলেই লোকটা আবার তোমার ইজ্জত লুটবে। তোমায় একা ফেলে ধারে-
কাছে কোথাও আমি আর যেতে পারব না।” “তুমি অযথা এ নিয়ে ভাববে না। আবার যদি বদমাশটা আমায় আক্রমণ করে তবে আমিই
ওই ছোরাটা দিয়ে ওকে শেষ করে দেব।” দেয়াল থেকে ছোবাটা একবার নামিয়ে এনে, “দেখো,
আমি এরই মধ্যে ওটাকে শান দিয়ে কেমন ধারালো করে রেখেছি। আমি যখনই বাড়ির বাইরে যাই
ছোরাটকে সঙ্গে নিয়ে যাই ।” স্ত্রীর এই কথাগুলি শোনার পর ইন্ডিয়ান পুরুষটির মাথা একটু ঠান্ডা হল। তবু ওর মন বলছে, এভাবে শয়তানটাকে ছেড়ে দিলে চলবে না। একটা কিছু করতে হবে। হয়
খুন, না হয় জোর কবে সবার সামনে স্বীকারোক্তি এবং সেই সাথে বড় ধরনের জরিমানা আদায।
ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এবং নিজের সম্মানের কথা ভেবে একটা কিছু করতেই হবে।
এমনও তো হতে পারে, গ্রামের অনেক লোকই ব্যাপারটা এরই মধ্যে জেনে গিয়েছে। এরপর সে
চুপ করে থাকবে কীভাবে? ইন্ডিয়ান সমাজের আইন অনুযায়ী শাস্তি ওই শয়তানটাকে পেতেই
হবে। সাদা চামড়ার লোক হলে অবশ্য অন্য কথা ছিল। ওদের ব্যাপারে আইন-কানুন অনেক
শিথিল। প্রত্যেকটি ইন্ডিয়ানকে নিজের সমাজের প্রচলিত আইনের বিধান অবশ্যই মেনে চলতে
হয়। অর্থদণ্ড হলে সাথে সাথেই তা মিটিয়ে দেওয়াই নিয়ম। লিওনসিও তার সম্মানকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়েছে। দণ্ড তাকে পেতেই হবে। নিজের হাতে
আইন নিয়ে শারীরিক শাস্তি দিতে গেলে শেষপর্যস্ত হয়ত কার্মেলোকেই জেলে গিয়ে পচতে হবে।
এর চাইতে বরং ভাল পরিমাণ অর্থদণ্ডই হবে ওর উপযুক্ত শাস্তি। গরিব ইন্ডিয়ানদের কাছে
অর্থাভাবের TAN সবচাইতে বড় যন্ত্রণা । লিওনসিওর পাপের সেটাই হবে উপযুক্ত শাস্তি। পাড়াপ্রতিবেশী এবং আশপাশের অঞ্চলের বয়স্কদের ডেকে এনে সভা বসাতে হবে। সেই
সভায় হাজির করাতে হবে লিওনসিওকে | এ সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা অবশ্য করতে সবে কার্মেলোকেই | কার্মেলো মনে মনে ঠিক করল তার ধর্মপিতা কালাত্তাকে সে আমন্ত্রণ জানাবে এই সভায়
পৌরোহিত্য করার জন্যে । সেই মতো প্রথম দিন সে গেল ওই বয়স্ক ও বিজ্ঞ লোকটির বাড়িতে | স্ত্রী ইসিডোরার ওপর যে অত্যাচার চালিয়েছে দুশ্চরিত্র লিওনসিও সেই ঘটনার বিস্তারিত
বিবরণ সে জানাল তার ধর্মাপতাকে। সেইসাথে এও জানাতে GAA না যে, দুর্বৃত্তটাকে খুন করে
ফেলার জন্যে ছোরাটা হাতে নিয়েও সে শেষ মুহূর্তে কীভাবে নিজেকে সংযত করেছে। ধর্মাপতা কালাত্তা এরপর কার্মেলোকে বললেন, “বেশ! তোমার সব কথাই আমি শুনলাম ১৬