লিখন আমার | Likhan Amar

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
কারুকাজ থেকে উঠে আসে এক-একটি বাক্প্রতিমা, পরের কোনো গানে, আপাত প্রাসঙ্গিকতার শৃঙ্খলা ছাপিয়ে গড়ে তোলে MPS ভাবনার TSA, যাকে কোনোক্রমেই আমরা কোনো বিষয়বস্তুর বর্গে অকাতরে গুজে দিতে পারি না। সম্পাদক আমাদের দিকে তন্্ব-সূচক তজ্জনী না দেখিয়েও, মনে হয়, রবীন্দ্রসংগীতের চিরাচরিত পর্ববিভাগের (প্রেম-পূজা-প্রকৃতি-আনুষ্ঠানিক- স্বদেশ ইত্যাদি) ব্যাপারটা পুনর্বিচার করার জন্য প্রবুদ্ধ করতে চেয়েছেন। এই FCA SI এমন কোনো প্রস্বর আরোপ করতে চাই না যে রবীন্দ্রনাথের এই -সব গানে তুলিকলমের আপতিক সন্নিবেশে যে-চিত্রধর্মিতা ফুটে উঠেছে তার মানদণ্ডেই তার সংগীতের প্রদত্ত ক্যাটিগরিগুলি ঢেলে সাজাতে হবে। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, এ-সব কল্পচিত্রণের মধ্যে প্রায়শই Tyas গানের We’ বা মেজাজ কীরকম স্পন্দমান! দৃষ্টান্ত হিসেবে উনপঞ্চাশ বছর বয়সে “যাত্রী আমি ওরে” লেখা গানটির অনস্তরা/সঞ্চারী জুড়ে, এমন-কি আভোগ ছাপিয়ে, অসংলগ্ন হিজিবিজির মতো WRIA মধ্যে দুর্ভেদ্য অবচেতন খননের ছমছমে ভাবটা অনিবারণীয়, এবং সবশেষে উৎকীর্ণ মুছিত একটি জন্তুর দ্যোতনা। এখান থেকেই কি তার অন্ত্য পর্বের চিত্রকলার সূত্রপাত? পণ্ডিতেরা সেই প্রশ্নের নিরসন করবেন। আমার প্রাসঙ্গিক বলার কথাটা শুধু এই যে, এই গানে SIMS মানুষের অনিঃশেষ যাত্রার যে-উচাটন রণিত হয়ে আছে তারই সুর এই আঁকিবুকির সৈকতে আছড়ে পড়েছে। অথবা বলা যায়, 'ভাষাবিহীন অজানিতের পানে” এই কল্পচিত্রের হাতছানি শব্দের তরঙ্গে ব্যাপ্ত, বিথারিত। একটু অবাক লাগে, এ গান কী করে “পূজা ও প্রার্থনা” বিষয়বর্গে চিহ্নিত হয়ে রইল? পূজা ও প্রার্থনার মনোভঙ্গি নিয়েই আমি এই অনন্য সংকলনের পাতা উল্টে যাই। আচম্বিতে আবিষ্কার করি “বিধির বাঁধন কাটবে তুমি' ১৬ নে



Leave a Comment