রামধনু [সংস্করণ-৩] | Ramdhanu [Ed. 3]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
৪ রামধনু এ ডাক ওর কানে পৌঁছুবে-_জমে যাওয়া কালো চোখের পাতা দুটি মেলে তার সেই WHA সম্েহ দৃষ্টিতে ওর পানে তাকাবে | সে স্থির ভাবে হাটু গেড়ে বসল, চোখ ছুটি কালে মুখখানির উপর নিবদ্ধ। ঠাণ্ডার অনষ্ভূতিও তার ছিল না, AH দুটো যে অসাড় হয়ে গেছে তাও জানতে পারে far সে তাকিয়েই ছিল। নদীর উপর হেলে-পড়া গাছটা থেকে একটা দাড়কাক জোরে ডানার ঝাপটা মেরে উড়ে গিয়ে একবার চক্রাকারে ঘুরে আর এক জায়গায় বসে পড়ল, সেখানে একট] ঝোপের আড়ালে ছেঁড়া ন্যাকড়ার স্তূপ পড়ে ছিল । রক্তমাথা কাপড়গুলে! একবার উকি মেরে দেখল | কাকটা ক্ষণেক নিশ্চল বসে রইল, যেন গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়েছে। তারপর হঠাৎ ঠোট বার seat কাঠঠোকরা কাঠের উপর ঠোকর মারলে যে-রকম শুকনো AT খট শব্ধ হয়, সে-রকম একটা শব্দ শোনা গেল | তুষার তার কাজ করেছে। একমাস আগে এখানে যা-কিছু পড়েছিল সবই আজ পাথর হয়ে গেছে। স্ত্রীলোকটি চেতনাহীন অবস্থা থেকে হঠাৎ যেন জেগে উঠল | “aH I SSH) অনিচ্ছা সত্বেও উড়ে গেল কিন্তু পরক্ষণেই আবার একটি মৃত দেহের পাশে এসে উড়ে TAA) «YS দেহটার অর্ধেকটা বরফে ঢাকা পড়েছে | “aa” ASTHA জমাট বরফ কাকটার দিকে সে ছুঁড়ে মারল । মন্থর গতিতে উড়ে কাকটা গিয়ে আবার গাছের ডালে বসল। স্ত্রীলোকটি উঠে দাড়াল, আর একবার ছেলের দিকে তাকিয়ে সেই পথ ধরে আবার খালের ধারে ফিরে গেল। বরফের ফাক থেকে বালতি দুটিতে জল ভরে নিয়ে সে ধীরে ধীরে আবার চড়াই বেয়ে উঠে গেল । গুরু ভারে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে পথ চলছিল। বেলা অনেকটা হয়েছে, স্থধালোকে চারিদিক ছেয়ে গেছে, কিন্তু কুয়াশা তখনও সম্পূর্ণ কাটেনি । ওর মনে হচ্ছিল, বরফগুলির রং যেন নীল। সে অবাক হয়ে ভাবল যে, বরফের রং কি সত্যই নীল হয়ে গেছে, না, তার মৃত



Leave a Comment