বিশ্বভারতী | Visvabharati

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বিশ্বভারতী তাই বলে একথা বলি নে যে, বাইরের বন্ধনে কিছুমাত্র শ্রেয় আছে; বলি নে যে, তাকে অলংকার করে গলায় জড়িয়ে রেখে দিতে হবে। সেও মন্দ, কিন্তু অস্তরে যে মুক্তি তাকে এই বন্ধন পরাভূত ও অপমানিত করতে পারে না। সেই মুক্তির তিলক ললাটে যদি পরি তা হলে রাজসিংহাসনের উপরে মাথা তুলতে পারি এবং বণিকের তূরিসঞ্চয়কে তুচ্ছ করার অধিকার আমাদের জন্মে । যাই হোক, আমার মনে এই কথাটি ছিল যে, পাশ্চাত্য দেশে মানুষের জীবনের একটা লক্ষ্য আছে ; সেখানকার শিক্ষা দীক্ষা সেই লক্ষ্যের দিকে মাহুষকে নানা রকমে বল দিচ্ছে ও পথ নির্দেশ করছে। তারই সঙ্গে সঙ্গে অবাস্তর- ভাবে এই শিক্ষাদীক্ষায় অন্য দশরকম প্রয়োজনও সিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে জীবনের বড়ো লক্ষ্য আমাদের কাছে জাগ্রত হয়ে ওঠে নি, কেবলমাত্র জীবিকার লক্ষ্যই বড়ো হয়ে উঠল। জীবিকার লক্ষ্য শুধু কেবল অভাবকে নিয়ে, প্রয়োজনকে নিয়ে; কিন্তু জীবনের লক্ষ্য পরিপূর্ণতাকে নিয়ে-- সকল প্রয়োজনের উপরে সে । এই পরিপূর্ণতার আদর্শ সম্বদ্ধে যুরোপের সঙ্গে আমাদের মতভেদ থাকতে পারে, কিন্ত কোনো-একটা আদর্শ আছে যা কেবল পেট ভরাবার না, টাকা করবার না, এ কথা যদি না মানি তা হলে নিতাস্ত ছোটো হয়ে ষাই ৷ এই কথাটা মানব, মানতে শেখাব, এই মনে করেই ১৩



Leave a Comment