জনপদবধূ [সংস্করণ-২] | Janapodbodhu [Ed. 2]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আসীন হয়েছেন ঘনশ্যামদাসবাবু। আমাকে বিশেষভাবেই অভ্যর্থনা জানালেন, “আসুন বাবুজী। আসন, THA |” নমস্কার জানিয়ে আমি আর পাস্থলু আসন গ্রহণ করলাম। APL বসল গদিতে, আর আমার পরনে প্যান্ট থাকায়, বসলাম গিয়ে চেয়ারে | ঘনশ্যামদাসবাবুর হাতে Fla ঝকঝকে একটা থালা, তাতে গোটা দুই হাতে-চাপড়ানো প্রকাণ্ড রুটি আর একতাল কিশমিশ-দেওয়া হালুয়া । গণেশ-afea দিকে থালাটা বাড়িয়ে দিয়ে বার-কয়েক আরতির ভঙ্গিতে হাত দুটি আন্দোলিত করে ডেকে উঠলেন, “বাচ্চ, ! বাচ্চ 1” ঘনশ্যামদাসবাবুর প্রাতরাশ সমাণ্ড হয় নি দেখে উঠে যাব কি যাব ন| এ-কথা ভাবছি, হঠাৎ দেখি টুন-টুন-টুন-টুন শব্দ করতে করতে ভিতরের দরজা দিয়ে ঘরে এসে ঢুকল কালো মতন কী একটা GE | প্রথমটায় ঠিক বুঝতে পারি নি, পরে ভাল করে তাকিয়ে যা দেখলাম, তাতে আমার বিস্ময় আর সীমারেখা মানল না | গলায়-সোনার-ঝুমঝুমি পরানো প্রকাণ্ড একটা ইদুর ৷ হ্যা, আকারে একটা বেড়ালেরও বড় হবে। ছোট ছোট চারটি পা ফেলে বেজির মতন গোলাপী ঠোঁট মেলে রুটি ছুটি একসঙ্গে টেনে নিল মুখের মধ্যে, তারপর আবার পরক্ষণেই অদৃশ্য হয়ে গেল অন্তরালে ৷ পাস্থলু ঘনশ্যামদাসবাবুরই লোক, এ সব দেখতে হয়তো! সে AIG হয়ে CATR, তাই সে “ওসব দিকে YEAS না করে খবরের কাগজটা টেনে নিয়ে বাজার-দরের পৃষ্ঠাটা খুঁজতে লাগল। আমি সাধারণত এত সকালে কাজে বসি না, তাই দিনকয়েক হল এখানে এসেছি বটে, তবু এসব কিছু আগে লক্ষ্য করতে পারি নি। বিস্ময়বিস্ফারিত চোখে বলে উঠলাম, “ওটা কি শেঠজী, See ?” থালাশুদ্ধ হাতটা কপালে ঠেকিয়ে শেঠজা বললেন, “গণেশজীর বাহন 1” “পুষেছেন 1” “আরে রাম-রাম,” শেঠজী আবার গণেশজীর উদ্দেশে নমস্কার



Leave a Comment