শতাব্দীর আলোকে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ | Shatabdir Aloke Deshapran Birendranath

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রীশংকরপ্রমাদ মিত্র কলিকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জন্মশতবাধিকী উপলক্ষে তার উদ্দেশে বছ রাজনৈতিক নেতা ও স্বদেশপ্রেমিক এবং অসংখ্য স্বাধীনতা- গ্রামী শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। তাদের কণ্ঠের সঙ্গে ক মেলাবার যোগ্যতা আমার নেই, তবুও এই উৎসব উপলক্ষে কয়েকটি স্থানে, এমন কি, Sta পৈতৃক বাস্তভিটাতেও উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য ঘটেছিল । দেশপ্রাণ তার জীবনে একটি মূল আদর্শকে চিরদিন অনুসরণ করে গেছেন | সে আদর্শ হলে যদি তিনি দেশবাসীর সেবায় সতত নিয়োজিত না থাকেন তবে তার জীবিত থাকার কোন প্রয়োজন নেই । তিনি বিশ্বাস করতেন যে, তিনি স্বদেশবাসীর স্বার্থরক্ষার জন্য জন্মগ্রহণ করেছেন ; তার স্বদেশবাসী তাকে বিশ্বাস করে এবং ভার স্বদেশবাসীদেরই জন্য তিনি আত্মবিসর্জন দেবেন | অনেকের ASS ধারণা আছে যে, ১৯২৮ খৃষ্টাব্দের কলকাতা কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রথম ভারতের পুর্ণ স্বাধীনতার দাবী উত্থাপিত হয় এবং ১৯২৯ খৃষ্টাক্ের লাহোর অধিবেশনে সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়। ইতিহাসের বিচারে এ-তথ্য সঠিক নয়। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় শ্রীঅরবিন্দ সর্বপ্রথম এই দাবী উত্থাপন করেছিলেন এবং গান্ধীজী ১৯২১ খৃষ্টাব্দে যখন প্রথম অহিংস-অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ করেন তখন বীরেন্দ্রনাথ শাসমল পরিষ্কার ভাষায় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে বলে দেন যে, আমরা ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস চাই না--“ইকোয়াল পার্টনারসিপ”*ও চাই না, আমরা চাই ভারতবর্ধের পূর্ণ স্বাধীনতা |



Leave a Comment