জেনানা ফাটক | Jenana Fatak

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
আলাপ ১৩ গলায় আমার সরু একটি চেন হার | শাপ্ুড়ির আদেশ, ছেলের মাকে নাকি খালি গলায় থাকতে cae) এদিকে কারো নজর না পড়লেও ইন্দুমতীর নজর এড়ায় নি। কখন গিয়ে নালিশ লাগিয়েছে । জেল-কর্তৃপক্ষ এলেন, সেটি চাই | কেন ?- না- বুড়ি কয়েছির গলার ভিতরে থলি আছে। জেলার বললেন, “ধরুন আপনি যখন ঘুমিয়ে আছেন এক ফাকে. সে যদি খুলে মিয়ে টক্‌ ক'রে একবার গিলে ফেলে-_ আর কিন্তু আমাদের সাধ্য নেই তা বের Fe আনি । বললুম-_ “তা যদি হয় হোক, হার আমি খুলব না ।” “বেশ, তাহ'লে কিন্তু আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই মনে রাখবেন'-- বলে জেলার চ'লে গেলেন। দুপুরে বন্ধঘরে স্তয়ে-ব'সে সময় কাটাচ্ছি_ চারদিকে রোদ্দ,র চন্চন্‌ করছে। পশ্চিমদিকে স্নানের জায়গ] থেকে জল গড়িয়ে যাবার মর্দম| এই ঘরের তিন পাশ ঘুরে পুবদিকের উচু দেয়ালের ফুটো দিয়ে বাইরে চ'লে গেছে | কয়েকজন কয়েদি ঘরের বাইরে থাকে। তাদের চাল-ডাল-ভাঙা-ঝাড়ার কাজ শেষ না হওয়া পর্যস্ত ছুটি নেই । একজন বাটিতে ক'রে একটু একটু জল মাথায় দিয়ে গা-মাথা এক-সঙ্গে কোনোরকমে ভিজিয়ে নেবার চেষ্টা করছে। সেই জলটুকু তির্তিরু ক'রে গড়িয়ে যাচ্ছে ea) দিয়ে। দুটো পায়র] নেমে এল সেখানে | দু-পায়ে ভর রেখে বুকটা মাটিতে ঠেকিয়ে মাথা] হেলিয়ে দিয়ে মর্দমা থেকে জল খেতে লাগল CATT থেমে, অনেকক্ষণ | পশ্চিমদিকের দেয়ালের ছায়া বাড়তে বাড়তে উঠোনের অনেকখানি এগিয়ে এল। ইন্দুমতী ঘরের দরজা খুলে দিতে বাইরে এসে সেই ছায়াটুকুতে পায়চারি করতে লাগলুম। বুড়ি কয়েদি পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তাকে জিগগেস করলুম-_ হ্যা বুড়ি, তুমি কী দোষ করেছিলে ?- চুরি? কী চুরি 1” বুড়ি ঝুকে-পড়া পিঠটা সোজা ক'রে মাথা তুলে দু-দ্িকে ছু-হাত মেলে নাচাতে নাচাতে বললে-_ “SIF এত কে সোনা, মাইজি-_ এত.কে এত.কে সোনা ।' SIS! সেই ছায়াতে একট] কম্বল বিছিয়ে হাটু অবধি ঘাগড়া তুলে দু-পা বের ক'রে বসল। বুড়ি তাড়াতাড়ি একটা টিনের কৌটো বের ক'রে ইন্দুমতীর পায়ে তেল MACS লাগল।



Leave a Comment