রোদ-বৃষ্টি-ঝড় | Rod-bristi-jhad

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
8 রোদ-বৃষ্টি-ঝড় রতনুর ঠাকুরদা মারা যেতেই ছেলেরা যে যার মতন আলাদা হয়ে গেল। একটি ভাই ছিল নিঃসন্তান। সেজন্য অন্য চারজন তাকে সম্পত্তি দিতে নারাজ। সে-ও ছাড়বার পাত্র নয়। ঝগড়া করে তার ভাগের অংশ সে ঠিকই আদায় করে নেয়। সে আমলে কাগজের টাকার চাইতে রুপোর টাকার প্রচলনই ছিল বেশী। নিঃসন্তান ভাই তার অন্য চার ভাইদের ওপর রাগ করে একটা ছেঁড়া বস্তায় তার ভাগের টাকা ভর্তি করে মোষের পিঠে বেঁধে সারা গায়ে সে মোষকে ছোটায়। বস্তার টাকা গাঁয়ের রাস্তায় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পড়ুক। সে তার সম্পত্তি গাঁয়ে বিলিয়ে দেবে তবুও এই হারামজাদা SIAC এক পয়সাও দেবে AT! এই তার প্রতিজ্ঞা। কর আদায় করে টাকা তার ভালই হয়েছে। কাগলের গোরু বাছুরের হাটটি কিন্তু আর রইল না। এরপর হাট উঠে গেল কোল্হাপুরে, তার সাথে সাথে কর আদায়ের পেশাও গেল উঠে। WY নামের পেছনে যকাতে পদবীটা রয়েই গেল। তাতে অবশ্য গ্রামবাসীদের কোন সুবিধেই হল না। পাঁচ ভাই তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুললে । একজন CHF জুলুমবাজি আরম্ভ করলে। আরেকজন সরকারের বনজঙ্গল নিলামে কিনে ভাগ ভাগ করে বেচে দেয়, তাতে ভালই মুনাফা থাকে। দুজন ধরলে চাষ। আর ASAT বাপ চাষ ছাড়াও ধান কেনাবেচার ব্যবসা আরম্ভ করে দিলে। এক ACH ধান কিনে অন্য গায়ে বেচার ব্যবসা। এ কাজে যথেষ্ট সাহসের দরকার। বন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে আসতে হয়, ডাকত, লুটমার লেগেই থাকে। গাঁয়ে পরদেশী এলেই তার টাকা লুঠ হবে। সঙ্গে পালোয়ান, বরা, FUT এসব অস্ত্রশস্ত্র না নিয়ে যাওয়াই যায় না। প্রথম প্রথম রতনু ওর বাপের সঙ্গে এসব মুলুকে যেত। পরে ওর বাপ আর ওকেও নিত না।. রতনু যে ওর একমাত্র ছেলে। এত খুন খারাপির মধ্যে ছেলের জীবন বিপন্ন করতে রতনুর বাপের মন সায় দিত না। ভেবে চিন্তে তাই ছেলেকে সে চাষে লাগিয়ে দিয়েছে। পাঁচ ভাই যে যার মতো নিজের ডেরায় বাস করলে কি হবে এক মুহূর্তের জন্যও এক জন আরেকজনের প্রতি বৈরীভাব ভুলতে পারে না। HST, পরপ্রীকাতরতায় জ্বলে পুড়ে মরে। এক ভায়ের ক্ষেতে ফসল পেকেছে কাটবে বলে তৈরীও হল, অমনি অন্য এক ভাই লুকিয়ে ফসল কেটে নিয়ে গেল। কখনও বৰা অন্যভায়ের পোষা গোরু বা ছাগলকে লাথি মেরেই শেষ করে ফেলল। তাতেই GAH! প্রত্যেকের মনেই একে অন্যের প্রতি সন্দেহ আর সংশয়। TSS বাপ মার তো সর্বক্ষণ ভয়। ভায়েদের ঝগড়াবিবাদের মধ্যে তাদের একটি সম্ভানও বুঝি আর বেঁচে থাকবে না। রতনুর বাপ তাই এদের থেকে অনেক দূরে চলে যায়। মাঙ্গদের বসতির কাছাকাছি চাষের জমি কেনে সে। সেখানেই একটা সাধারণ ঘরও তোলে থাকার জন্য। সে ঘরেই তার তিন ছেলেমেয়ে বেঁচে রইল এ বংশের সব দোষ ও গুণের উত্তরাধিকারী হয়ে। রতনুই এদের মধ্যে বড়, তার পর পিঠোপিঠি দু বোন-_ Fe ও আকণী। দিন গড়িয়ে মাস, মাস গড়িয়ে বছর। রতনুর বাপের বয়স যত বাড়তে লাগল, শরীরের বল ততই. কমতে লাগল। WAH চাষবাসই তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান হয়ে



Leave a Comment