তুলির কিছু সময় | Tulir Kichhu Samay

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
বা অভিভাবকের aul নিষেধ, যখন তখন বেরোবে না। লেথার পোকা যার মাথায় ঢোকে, বাধা-নিষেধের গণ্ডী ভেঙে তাকে যে চলতেই হবে। সেদিন বাড়ীতে কাউকে কিছু না বলে এইট-বি'তে চেপে সোজা মাণিকতলা। ববিদার সঙ্গে দেখা হতেই বললেন, বোসো, তোমার লেখার হাত চমৎকার। তোমার মধ্যে সম্ভাবনা Ble! গল্পটা ছাপা হবে। কিন্তু ভাই আমার একটি প্রশ্ন, তোমার গল্পের দুটি নায়কই এতো ভালো, তা নায়িকা fer দোষে স্থগতকে ত্যাগ করছে কেন? তুমি এই দুই নায়কের মধ্যে একজনকে ভিলেন করে দাও | বাড়ীতে ফিরেই ঢের পেলাম গায়ে বেশ Gq] একটা নোভালজিন ট্যাবলেট থেয়ে লিখতে বসলাম। আমার খুড়তুতো দাদা আমায় উৎসাহ দিতো খুবই । তবু বাবার নীতিতে সেও ছিল বিশ্বাসী, পড়াপ্তনো বাদ দিয়ে লেখা নয়। রাত জেগে লিখলে শরীর থারাপ হবে, লাইট জেলে রাখলে অনেকের ঘুমের অস্থবিধে হবে। তাই বাড়ীতে হুকুম ছিল তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে হবে। কিন্তু ঘুম আর আসে না। দুঙ্গন নায়ক আর সেই দিশেহারা নায়িকা আমার মনের মধ্যে বার বার এসে দাড়ায়। এক সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি চোরের মতন নিংশব্দে কাগজ আর কলম নিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম। তারপর চৌবাচ্চার মাথাটাকে চেয়ার করে দেওয়ালটাকে টেবিল বানিয়ে দিলাম। দেওয়ালের গায়ে খাতা রেখে লিখছি। কোন নায়ককেই ভিলেন করতে ইচ্ছে হয় না। ভাবছি, দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু ঘটাবে কি না। তাতেও মন সায় দেয় না। আমি দুর্বল লেখক হব কেন? মৃত্যু তো হাতের শেষ অস্ত্র। তাঁর চেয়ে অন্য কিছু? তবে কি নায়িকার মতিস্থিরতা নেই ? লিখতে ee করলাম কিন্তু এই দুটি কারণের একটিও মনঃপুত হয় না। কেবলই মনে হতে থাকে, ভালবাসা কি কোন ছকে-বাধা নিয়মে চলে? একই মন কি দু-জনকে দেওয়া যায় না? নায়িকা উমির জন্যে মনটা কেমন করে উঠলো। FA তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে wal দু-জনের মধ্যে কে থাকবে আর কেই বা যাবে? লেথ শেষ হল। সেই প্রথম আমার হাতে জন্ম হল একটি পরিণত প্রেমের গল্পের। কিন্তু প্রেসে দেবার আগে, যাকে নিয়ে লেখা সেই বন্ধুর দিদিকে একবার পড়ে শোনানোর ইচ্ছে হল। পরদিন তার সামনে সত্যি সত্যি পড়ে ফেললাম লেখাটা রামক্বষ্ণ মিশন ইনসটিটিউট অব কালচার-এর ভিজিটারস রুমে বসে। পড়া শেষ্ব,হলে তার আইলাইনার আকা চোখের পাতাগুলো ভিজে উঠেছিল কিনা জানি না। তবে সে একটু অন্যমনস্ক হয়ে



Leave a Comment